বিজেপি (BJP) বিরোধীদলগুলিকে কোণঠাসা করতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি (Central Agency) দিয়ে চাপ সৃষ্ঠি করছে মোদি সরকার (Modi Government)। এই অভিযোগ শুধু তৃণমূলের নয়, আপ-সহ সব বিরোধীদলের। কিন্তু ধমকে-চমকে TMC-কে আটকানো যাবে না। যত জোড়াফুলকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা হবে, ততই আসন বাড়াতে তারা। ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে ২৪০ আসন পাবে বাংলার শাসকদল। জনসংহতি যাত্রায় রবিবার চোপড়ার জনসভা থেকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দাবি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)।
‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে ‘জনসংযোগ যাত্রা’য় বেরিয়ে এদিন উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় একাধিক জনসভা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সেখানেই কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, “ED-CBI দিয়ে ধমকে চমকে কোনও লাভ হবে না। অন্য দল ভয় পেতে পারে। তৃণমূল এসবকে ভয় পায় না। আমাকেও নোটিশ পাঠিয়েছে।” এরপরেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে অভিষেক বলেন, “যত নোটিশ আসবে, আন্দোলনের ভাষা তীব্র হবে ততই। ধমকে চমকে তৃণমূলকে আটকাতে পারবেন না। তৃণমূলকে যত ধমকেছে-চমকেছে তত আসন বেড়েছে।” পরিসংখ্যা তুলে ধরে তিনি বলেন “২০১১ সালে ১৮৪ আসন ছিল, ২০১৬ সালে ২১১, আর ২০২১ সালে ২১৪। ২০২৬-এ তৃণমূলের আসনসংখ্যা ২৪০ হবে। যত ধমকাবেন-চমকাবেন, ততই শক্তিশালী হবে তৃণমূল।”
বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে এদিনর সভা থেকেও সরব হন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। বলেন, “আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, আগামী দিন দিল্লিতে যাব। মানুষের অধিকারের প্রাপ্য টাকা ফিরিয়ে আনব। প্রয়োজনে অনির্দিষ্টকালের জন্য দিল্লিতে ধর্নায় বসব। দিল্লির বুক থেকে অধিকার ছিনিয়ে আনব। কারও ক্ষমতা নেই আটকে রাখার।” তিনি সাফ জানান, ইডি-সিবিআইয়ের ভয়ে মাথা নত করবে না তৃণমূল।