ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই শুরু হতে চলেছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) শততম মন কি বাত (Mann ki baat) অনুষ্ঠান। জানা যাচ্ছে এই পর্বে দেশের নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী(PM) । দেশের ১৬ টি জায়গার বাসিন্দাদের সঙ্গে। সেই তালিকায় রাজ্য থেকে বেছে নেওয়া হয়েছে নন্দীগ্রামের (Nandigram)গ্রাম। এই উপলক্ষে গোকুলনগর হাইস্কুলে প্রায় ৫ হাজার মানুষের একসঙ্গে বসে এই অনুষ্ঠান শোনার আয়োজন করেছে বিজেপি (BJP)। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই পদ্ম শিবিরের বিরুদ্ধে একটি অরাজনৈতিক অনুষ্ঠানে রাজনীতি করার অভিযোগ উঠছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের নাগরিকদের নিজের কথা শোনাতে বরাবরই অভ্যস্ত। কিন্তু কখনই সরাসরি সাধারণ মানুষের কথা শুনতে বা তাঁদের প্রশ্নের জবাব দিতে দেখা যায় না তাঁকে। ২০১৪ সাল থেকে শুরু হওয়া মন কি বাত অনুষ্ঠানের এই পর্বে আজ বেলা ১১ টা থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি এরাজ্যে প্রায় ১৩ হাজার এলাকায় এই অনুষ্ঠান শোনানোর ব্যবস্থা করেছে গেরুয়া শিবির। প্রশ্ন উঠছে সব ছেড়ে কেন নন্দীগ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা বলার সিদ্ধান্ত নিলেন প্রধানমন্ত্রী? বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে সড়ক হয়েছেন। একশ দিনের প্রাপ্য টাকা থেকে শুরু করে আবাস যোজনার টাকা -সবটাই আটকে রেখেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এইসবের প্রতিবাদে কলকাতার রেড রোডে দুদিন ধর্নাও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রেক্ষিতে দাঁড়িয়ে রাজ্যের অন্য জায়গার মানুষের ক্ষোভের কথা না শুনে, বেছে বেছে নন্দীগ্রামকেএই অনুষ্ঠানের অংশীদার করার সিদ্ধান্তের মধ্যে সক্রিয় রাজনীতির ছায়া দেখতে পাচ্ছে রাজনৈতিক মহলের এক অংশ। নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে দাঁড়িয়ে নন্দীগ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা বললে বিজেপি নেতাদের শেখানো বুলি উঠে আসবে বলেই বিরোধীদের মত। কেন্দ্রের বঞ্চনার কারণে বাংলার নাগরিকদের আসল সমস্যার কথা যাতে না তুলে ধরা হয় সেই জন্যই বিজেপির তরফ থেকে এই আয়োজন বলেই মত ওয়াকিবহল মহলের একাংশের।






































































































































