ডোমজুড়ে বিরোধীদের তুলোধনা,পঞ্চায়েতে মাটি কামড়ে লড়াই.য়ের বার্তা কুণালের

0
3

হাওড়ার ডোমজুড়ে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের বুধ ভিত্তিক কর্মীসভায় ফের বিরোধীদের তুলোধনা করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।রবিবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ধুয়ে দিলেন তৃণমূল মুখপাত্র। শুভেন্দুকে গাদ্দার আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন,নারদার এফআইআরে নাম থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র গ্রেফতারি এড়াতে বিজেপির ছাতার তলায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে শুভেন্দু।কুণাল মনে করিয়ে দেন, ওর বাবা শিশির অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই মন্ত্রীত্ব পেয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিহিংসা পরায়ন রাজনীতি, কখনও সিবিআই-ইডি আবার কখনও রাজ্যের প্রাপ্য টাকা আটকে দেওয়া। রাজ্য সরকারের যে সমস্ত প্রকল্প আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই ৫০-৬০টি প্রকল্পের সুবিধা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।

তিনি বলেন, কিছু গদ্দার নিজেদের বাঁচাতে তৃণমূল থেকে সব নিয়ে বিজেপিতে চলে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদের কী দেয়নি? এরাই একুশের আগে গেল গেল রব তুলেছিল। কিন্তু বাংলার মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁরা কাদের পাশে আছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাজুড়ে ঝড় তুলেছেন। তাতেও ভয় পেয়ে গিয়েছে বিরোধীরা। এদিনের সভায় অন্যান্যদের উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অরূপ রায়, ডাঃ শশী পাঁজা, সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা যুব সভাপতি কৈলাস মিশ্র, বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ, নন্দিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সীতানাথ ঘোষ-সহ জেলা নেতৃবৃন্দ। কেন্দ্রীয় সরকার রান্নার গ্যাস থেকে, কেরোসিন, পেট্রোল-ডিজেল, ওষুধের দাম, সারের দাম বাড়িয়ে চলেছে।অন্যদিকে ব্যাংকের সুদ শুধু কমছে। কুণাল বলেন, রাজ্য সরকার মানুষের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রয়োজনীয় নানান প্রকল্পের সুবিধা রাজ্যের মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে।

মানুষকে বুঝাতে হবে যে এই দাম বাড়ার নেপথ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আজকে হঠাৎ ধর্মের কথা বোঝাতে ময়দানে নেমেছে। তার কটাক্ষ, যেগুলো দলবদলু সেগুলিই কুৎসা করছে বেশি। কুণাল এদিন মনে করিয়ে দেন যে এই ১৯৮২ সালের ৩০ এপ্রিল কীভাবে বিজন সেতুর ওপর আনন্দমার্গীদের সন্ন্যাসী পুড়িয়ে মেরেছিল সিপিএম । এই সিপিএম এখন সাধু সেজে বড় বড় কথা বলছে।কুণালের স্পষ্ট কথা, দলকে আরও মজবুত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
রাজ্যের স্কুলগুলি থেকে ইংরাজি তুলে দেওয়া থেকে শুরু করে একের পর এক গণহত্যা, গণধর্ষণ কী হয়নি সিপিএম জমানায়। সে সব ভুলে সিপিএম এখন তৃণমূল কংগ্রেসের সমালোচনা করছে। তাঁরা ভুলে গেলেও মানুষ ভোলেনি বাম জমানার কথা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কর্মীরা লড়াই করেছে। সিপিএমকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। তাঁরাই এখন তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলছে। ভুলে যাবেন না সেই সিপিএম আমলের কথা।
এদিন কুণাল বলেন, তৃণমূলকে হারাতে সেই সিপিএম এখন জোট বেধেছে বিজেপির সঙ্গে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে তৃণমূল এগিয়ে যাবে। এদিন হাওড়ায় জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভা থেকে দলের বুথকর্মীদের উদ্দেশ্যে কুণাল বলেন, যাঁরা মঞ্চে আছেন, যাঁরা ভাষণ দিচ্ছেন তাঁরা নয়, আপনারাই দলের আসল সম্পদ। আপনারা আত্মবিশ্বাস রাখুন, মাটি কামড়ে লড়াই করুন তাহলে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটেও তৃণমূলেরই জয় হবে।

আরও পড়ুন- ইন্দাসে বজ্র.পাতে মৃ.ত্যুর ঘটনায় শোকপ্রকাশ অভিষেকের, দেবাংশুকে শোকা.হত পরিবারের পাশে থাকার নির্দেশ