হ*ত্যাকাণ্ডের এক বছর পরেও মেলেনি দে*হাংশ, অ*নশনে বসার হুমকি শ্রদ্ধার বাবার

0
3

শ্রদ্ধা ওয়ালকারকে কেন খুন করেছিল আফতাব পুনাওয়ালা? সম্পর্কে টানাপোড়েন? বিয়ের জন্য ? সন্দেহ? না অন্য কিছু! গোটা দেশেকে নাড়িয়ে দেওয়া এই ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ডের এক বছর হতে চলল তবু শেষকৃত্যের জন্য মেয়ের দেহাংশ পাননি। দ্রুত তা ফেরত পেতে অনশনে বসার হুমকি দিলেন শ্রদ্ধার বাবা বিকাশমদন ওয়ালকর।

তার দাবি, এক মাসের মধ্যে শ্রদ্ধা ওয়ালকরের খুনের মামলা ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে স্থানান্তরিত করা হোক। সেই সঙ্গে তাঁর হুমকি, এক মাসের মধ্যে এই মামলা ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে স্থানান্তরিত করা না হলে অনশনে বসবেন তিনি। দিল্লির এক দায়রা আদালতে শ্রদ্ধার খুনের মামলার শুনানি চলছে। এই খুনে অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালার বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের বিষয়ে রায়দান আগামী ৯ মে পর্যন্ত স্থগিত রেখেছেন ওই আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক বিকাশ পাহুজা।

এর আগে একটি টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ ওয়ালকার দাবি করেছিলেন, তাঁর মেয়ের কার্যত মগজ ধোলাই করেছিল আফতাব।ওই নৃশংসতার পরেও আফতাবের নির্লিপ্ত আচরণ দেখে তাঁর অভিযোগ সছিল, বাইরে থেকে সমর্থন পাচ্ছে এই যুবক। আফতাব তার মেয়েকে কোনও দিনই বিয়ে করতে চায়নি বলেও অভিযোগ তুলেছিলেন শ্রদ্ধার বাবা।

শনিবার শুনানির পর আদালতের বাইরে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে বিকাশ বলেন, আমার মনে হয় না এই মামলা অতি দ্রুত নিষ্পত্তি হবে। সে জন্য এই মামলাটা ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে নিয়ে স্থানান্তরিত করার আবেদন করছি আমরা। আগামী মে মাসে মেয়ের মৃত্যুর এক বছর হবে। এখনও পর্যন্ত তাঁর শেষকৃত্য করতে পারিনি।

শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের মামলার শুনানি দিল্লির দায়রা আদালত থেকে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে স্থানান্তরিত করার জন্য দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন বিকাশ। তাঁর কথায়, এক মাসের মধ্যে এই মামলা ফাস্ট ট্র্যাকে স্থানান্তরিত করা না হলে অনশন শুরু করব।

প্রসঙ্গত, শ্রদ্ধাকে খুনের কারণ খুঁজতে গিয়ে একাধিক তথ্য সামনে এসেছে। পরিবারের অমতেই আফতাবের সঙ্গে সম্পর্ক জড়ান শ্রদ্ধা। প্রেমিকের জন্যই বাড়ি ছাড়েন। তবে, সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি হয় মুম্বই থাকাকালীনই। মুম্বইয়ের ভাসাই থানায় আফতাবের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ জানান শ্রদ্ধা। তবে, পরে সেই অভিযোগ তুলে নেন তিনি।