এপ্রিলেই ট্রেলার দেখিয়ে দিয়েছে গ্রীষ্ম(Summar)। আপাতত বৃষ্টির(Rain) জন্য তাপমাত্রা কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও। আগামী মে মাসে পরিস্থিতি আর উদবেগজনক হতে চলেছে। গোটা মে মাস জুড়ে তীব্র দাবদাহে জ্বলবে গোটা দেশ। যার ফলে প্রাণহানি তো বটেই বিদ্যুৎ সঙ্কট(Electricity Crisis) বাড়বে। তাতে অর্থনৈতিক চাপ বাড়বে ভারতের(India)। এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কেন্দ্রীয় আবহবিজ্ঞান দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী মাসে পূর্ব-মধ্য এবং পূর্ব ভারতের অধিকাংশ জায়গার সর্বাধিক তাপমাত্রা স্বাভাবিকের উপরে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরপূর্ব ভারতের একাংশেও অন্যান্য বছরের তুলনায় গরম বেশি থাকবে? গরম বাড়ার অর্থ বিদ্যুতের চাহিদাও হু হু করে বাড়বে। কারণ গরমের হাত থেকে বাঁচতে মানুষ বেশি করে এসি, ফ্যান চালাবেন। ফলে চাপ বাড়বে বিদ্যুৎ বণ্টন ব্যবস্থার উপর। তাতে লোডশেডিংয়ের আশঙ্কাও বাড়বে। আর ভারতের মতো দেশে যেখানে কোটি কোটি মানুষ উপার্জনের তাগিদে প্রখর রোদ, গরমকে উপেক্ষা করে রাস্তায় বা বাইরে পরিশ্রম করতে বাধ্য হন, সেখানে প্রবল গরমে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর আশঙ্কাও থাকছে। তীব্র গরম দেশের অর্থনীতির উপর প্রবল চাপ বাড়াতে চলেছে অলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালেও একই ভাবে লাগামছাড়া গরমে ভুগেছিল গোটা দেশ। যার প্রভাব পড়েছিল গম উৎপাদন এবং সরবরাহে। এর আবার প্রভাব পড়েছিল বিশ্ব বাজারে। গত বছরের মতো এ বছরেও গরম পড়লে তার ফলাফল কী হতে পারে, সে সব দিক বিবেচনা করেই ব্যবসায় বিনিয়োগ করছেন বহু ব্যবসায়ী। ভারতের পাশাপাশি তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা হতে চলেছে বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড ও পাকিস্তানের। চিনের ইউনান প্রদেশে ইতিমধ্যেই খরার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পাকিস্তানের পরিস্থিতিও সেইদিকে এগোচ্ছে বলে অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞরা।