কালিয়াগঞ্জ কাণ্ডের (Kaliaganj Case) প্রতিবাদ করার নামে কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলাকে (Esplanade Area) অচল করার চেষ্টা বিজেপি (BJP) যুব মোর্চার কর্মী সমর্থকদের। মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি তুলে বিজেপির তরফ থেকে এই বিক্ষোভ প্রতিবাদ বলে জানানো হয়। পাশাপাশি কালিয়াগঞ্জ কাণ্ডে রাজ্যপালের কাছে তলব চাইবেন বলে বিজেপি নেতা ইন্দ্রনীল খাঁ (Indranil Khan) জানান। ডোরিনা ক্রসিং-এর কাছে বিজেপি যুব মোর্চার মিছিল আটকায় পুলিশ (Kolkata Police)। এরপর পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করতে শুরু করেন বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা বলে অভিযোগ। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করলে একের পর এক বিজেপি যুব মোর্চার কর্মীকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয় পুলিশ।
বিজেপির সদর দফতর থেকে শুক্রবার দুপুরে রাজভবনের উদ্দেশ্যে বিজেপি যুব মোর্চার যে মিছিল বেরোয় , তাকে কেন্দ্র করে রীতিমত উত্তপ্ত ধর্মতলা চত্বর। জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ প্রতিবাদ করতে রাস্তায় বসে পড়েন বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা। পুলিশের তরফ থেকে তাঁদের বারবার বোঝানোর চেষ্টা হলেও নিজেদের দাবিতে অনড় থাকেন তাঁরা। কর্মব্যস্ত দিনে এভাবে ধর্মতলা চত্বরকে অবরুদ্ধ করার যে চেষ্টা বিজেপির তরফ থেকে করা হয় তার জেরে সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ। এরপরই পরিস্থিতি সামাল দিতে এবং কলকাতার ট্রাফিক ব্যবস্থাকে সচল রাখতে বিক্ষোভকারীদের আটক করতে বাধ্য হয় পুলিশ।
পাশাপাশি ধর্মতলা রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদ শুরু করেছে কংগ্রেস। হিন্দ সিনেমার কাছ থেকে মিছিল করে এসে ধর্মতলায় পথ অবরোধ করলেন কংগ্রেসের (Congress) কর্মী সমর্থকেরা। দুই রাজনৈতিক দলের বিক্ষোভ প্রতিবাদ মিছিলে ধর্মতলায় ধুন্ধুমার।