সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গাঙ্গুলির বিরুদ্ধে এফআইআর করেছেন স্ত্রী মোম। অভিযোগ বধূ নির্যাতনের। ১৮ এপ্রিল মোম ঠাকুরপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ ন যযৌ ন তস্থৌ। ফলে ‘প্রভাবশালী’ তত্ত্বের অভিযোগ উঠছে। নির্যাতিতা মহিলা-স্ত্রী-মা-পুত্রবধূ। ব্যবস্থা নেবে না প্রশাসন?
আরও পড়ুন:সৌরভদের দলের অধিনায়ক নিয়ে বিরাট মন্তব্য গাভাস্করের
কী অভিযোগ রয়েছে সেই এফআইআরে? বিস্ফোরক সেই এফআইআর। শুধু মানসিক নয়, স্নেহাশিস শারীরিকভাবেও অত্যাচার চালিয়ে আসছেন মোমের উপর। যত দিন গিয়েছে, ততই বেড়েছে এই ঘটনা। মোম-স্নেহাশিসের ২৮ বছরের দাম্পত্য জীবন। মোমের দাবি, কার্যত বিয়ের চন্দন শুকতে না শুকতেই স্নেহাশিসের অত্যাচার শুরু। পণ নেওয়ার অভিযোগ তো আছেই, রয়েছে বিয়ের স্ত্রীধনের পুরোটাই কব্জা বা হলফের মারাত্মক অভিযোগও।
কেন এই অত্যাচার? মোমের অভিযোগ, কপিবুক ক্রিকেটার হিসাবে স্নেহাশিস বাংলায় খ্যাতি পেলেও জাতীয় দলের বাস মিস করেন। আর সেখান থেকেই সম্ভবত শুরু তাঁর হতাশা। হতাশার বহিঃপ্রকাশ ঘটত আচরণে। রাগ মেটাতেন মোমের উপর নিত্যনতুন অত্যাচারের দিগন্ত খুলে দিয়ে। অন্যদিকে মোম স্নাকোত্তরে ফার্স্ট ক্লাস পেয়ে নিজের ভবিষ্যত গড়তে চেয়েছেন, অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন হতে চেয়েছেন। কিন্তু গাঙ্গুলী বাড়িতে তাঁর ঢোকা-বেরনো, সবটাই স্নেহাশিসের ইচ্ছা-অনিচ্ছা, মেজাজ-মর্জি-খামখেয়ালিপনার উপর নির্ভর করত। মোম যাতে পরীক্ষায় না বসতে পারেন, তারজন্য বাড়ির গাড়ি দিয়ে ষড়যন্ত্রও করা হয়েছিল। অগত্যা গাড়ি ছেড়ে লোকাল বাসে চাপতে হয়েছে গাঙ্গুলী পরিবারের বড় বউকে।
মোম বলছেন, বাবা-বোন আমার ঘটা করে জন্মদিন সেলিব্রেট করতে চাইলেন। দিন ঠিক হলো। যাওয়ার অনুমতি চাইলেন। দেওয়া হল না। কারণ কী? বলা হল এসব কেক কাটা বা অনুষ্ঠান করা পশ্চিমী সংস্কৃতি। গাঙ্গুলী বাড়িতে চলে না। কী আশ্চর্য, ওই বাড়িতেই সৌরভের জন্মদিন পালন হল কেক কেটে, পার্টি থ্রো করে! শুধু তাই নয়, মোমের উপর মানসিক অত্যাচার বাড়াতে পুজোর দোহাই দিয়ে খাওয়া বন্ধ করা কিংবা বাইরে বেরনোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। উদ্দেশ্য পড়াশোনা-নাচ বন্ধ করা। নিট ফল, দীর্ঘক্ষণ অভুক্ত থাকার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লেন মোম।
স্বামীর এত অত্যাচার, তবু মোম মেয়ের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে সহ্যের সীমা লঙ্ঘন করার পরেও অপেক্ষা করে গিয়েছেন। মনে আশা ছিল, সময় এগোলে মন পাল্টাবে। কিন্তু এর চেয়েও যে ভয়ঙ্কর, অপমানজনক, নোংরা, কদর্য পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে, তা কল্পনাতেও ভাবেননি মোম গাঙ্গুলী। বেহালার গাঙ্গুলী পরিবারের বড় বউ।
সেই সব ভয়ঙ্কর অত্যাচারের আরও গোপন কথা রয়েছে এফআইআরে।আমরা এফআইআরের ভিত্তিতে খবর করেছি। যদি সংশ্লিষ্ট কারওর এ বিষয়ে কোনও বক্তব্য থাকে, আমাদের পাঠালে আমরা তা প্রকাশ করব।
পড়ুন পরের কিস্তিতে।