স্বস্তির বৃষ্টিতেও বিষাদ! বজ্রপাতের জেরে ম.র্মান্তিক পরিণতি ৪ যুবকের, গুরুতর জ.খম আরও ৬

0
1

তীব্র গরমে কিছুটা হলেও মিলল স্বস্তি। বৃহস্পতিবার দুপুর গড়ানোর পর থেকেই স্বস্তির বৃষ্টিতে (Rain) ভেজে রাজ্যের একাধিক জায়গা। সকাল থেকে চাঁদিফাটা গরমকে কিছুটা দূরে সরিয়ে বিকেলের পর ঝেঁপে বৃষ্টি নামে শহর কলকাতাতেও (Kolkata)। মুহূর্তে কালো মেঘে ছেয়ে যায় গোটা এলাকা। বইতে থাকে ঠাণ্ডা হাওয়াও। তবে বৃষ্টির কারণে আপাতত স্বস্তি মিললেও পিছু ছাড়ল না দুর্ঘটনা (Accident)। বৃহস্পতিবার কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ (Thunderstorm) সহ ঝড়বৃষ্টি হয়। আর সেই বজ্রপাতের জেরেই প্রাণ গেল মোট ৪ জনের। গুরুতর জখম হয়েছেন কমপক্ষে ৬ জন।

বৃহস্পতিবার বজ্রপাতের জেরে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভরতপুর-২ নম্বর ব্লকের কাগ্রাম এলাকার বাসিন্দা চব্বিশ বছরের হাবিব শেখ এবং ছাব্বিশ বছরের নেকবস শেখ-এর মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, দুপুরে মাঠে কাজ করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। সেই সময়েই আচমকাই প্রবল ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। ইচ্ছা থাকলেও মাঠ থেকে নিরাপদ স্থানে সরে আসতে পারেননি তাঁরা। এদিকে বজ্রপাতে গুরুতর জখম হওয়ার পর তাঁদের স্থানীয় সালার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। তবে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে, কাগ্রামেই বজ্রপাতের জেরে গুরুতর জখম হন হেলু শেখ, আমিনুর শেখ এবং হেরু শেখ নামে তিন ব্যক্তিও। তাঁদেরও প্রথমে সালারের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও পরে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তাঁদের কান্দি মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পাশাপাশি এদিন নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় সামশেরগঞ্জের (Samshergaunj) লক্ষ্মীনগরে বছর একুশের সালাউদ্দিন শেখ নামে এক যুবকের। গুরুতর জখম হন আরও তিন জন।

অন্যদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনি (Shalbani) থানা এলাকায় বজ্রপাতের জেরে গুরুতর জখম হন স্বপন ভুঁইয়া (৪৪) নামে এক ব্যক্তি। বিকেলে তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আর আচমকা এমন মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। বৃহস্পতিবার দুপুর হতেই রাজ্যজুড়ে কালো মেঘে ছেয়ে যায় আকাশ। কলকাতা (Kolkata) সহ হাওড়া (Howrah), দুই ২৪ পরগনায় ঝড় ও বৃষ্টি নামে। ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার পাশাপাশি বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি হয়।