টানা প্রায় আড়াই বছর শয্যাশায়ী থেকে মৃত্যু হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলের স্ত্রীর। তার পর মেয়ে সুকন্যার কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন কেষ্ট মণ্ডল। বলেছিলেন, আড়াই ফুট চওড়া খাটে মেয়েটা মায়ের সঙ্গে কীভাবে কাটিয়েছে, তা শুধু আমি জানি। এমন মেয়ে সবার ঘরে হোক!বুধবার সেই কন্যাকে গ্রেফতার করেছে ইডি।বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে পেশ করতে চলেছে ইডি।কন্যার গ্রেফতারির খবরে আদালতে শুনানি সময় বিচারকের কাছে জামিন চাইলেন অনুব্রত মণ্ডল।

আরও পড়ুন:রামনবমীতে হাওড়া, রিষড়ায় অ*শান্তির তদন্তভার এনআইএ-কে দিল আদালত

তিহাড় থেকে এদিন ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শুনানিতে যোগ দেন অনুব্রত ও তাঁর এককালের দেহরক্ষী সায়গল।বিচারক তাঁর কাছে কেমন আছেন জানতে চাইলে অনুব্রত উত্তরে বলেন, শরীর ভালো নেই। এর পর বিচারক জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘আপনি যে আসানসোল জেলে ফেরার আবেদন করেছিলেন দিল্লি হাইকোর্টে তার স্ট্যাটাস কী?’’ উত্তরে অনুব্রত বলেন, ‘‘স্যর এখনও সেটা চলছে। আমাকে আসানসোল জেলে ফেরত চেয়ে নিন।’’ তার জবাবে বিচারক বলেন, ‘‘ওটা তো হাইকোর্টের বিষয়। আমার হাতে নেই।’’সেইসঙ্গে অনুব্রত সিবিআইয়ের উপর অভিযোগ তুলে বলেন, সিবিআই মামলায় আমায় এ বার বেল (জামিন) দিয়ে দিন। ওটা ফলস কেস (মিথ্যা মামলা)।’’


পাল্টা বিচারক বলেন, “আমরা সরকারি লোক।কাগজপত্র নথি সব দেখেই বিচার করতে হয়। আমি কী জানি সেটা বড় কথা নয়!” এরপর অনুব্রতকে বিচারকের পরামর্শ, তিহাড়ে কোনও অসুবিধা হলে জেল সুপারকে জানাবেন। ওখানে পরিবেশ তো একটু আলাদা। কোনওরকম দ্বিধা সংকোচ করবেন না। এরপরই তিনি পরবর্তী শুনানি ১১ মে বলে জানিয়ে দেন।








































































































































