গাঙ্গুলী বাড়িতে বধূনির্যাতন!

0
3

একটি এফআইআর। সেখানে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ। আর একটি ‘বিয়ের উপর ইনজাংশন’। আপাতত এনিয়ে চরম সমস্যায় বেহালার গঙ্গোপাধ্যায় পরিবার। বড় পুত্রবধূ, অর্থাৎ, সৌরভের দাদা স্নেহাশিসের স্ত্রী মোম ঠাকুরপুকুর থানায় যে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন, তার জট তো কাটছে না; বরং জটিলতা আরও বাড়ছে।

সূত্রের খবর, মোম সরাসরি তাঁর স্বামী তথা সিএবি সভাপতি স্নেহাশিসের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছেন। মোমের উপর অত্যাচার, বিবাহবিচ্ছেদে চাপ দেওয়া, বিচ্ছেদ না হলেও অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করার চেষ্টা, এমন সব মারাত্মক অভিযোগ। সেই সঙ্গে মোম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আতঙ্কিত হয়ে আছেন। তিনি ঠাকুরপুকুর থানায় স্নেহাশিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। পুলিশ চাপে পড়ে এফআইআর করলেও অভিযুক্ত ‘প্রভাবশালী’ বলে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। মোমের আইনজীবী আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন, যাতে স্নেহাশিস আবার বিয়ে করতে না পারেন। আরও তিনটি পদক্ষেপের কথা তাঁরা ভাবছেন। তার মধ্যে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করার পরিকল্পনাও আছে।
এদিকে, সূত্রের খবর, স্নেহাশিস বাড়ি ছেড়ে ‘সেই’ মহিলার সঙ্গে বেহালারই আর এক প্রান্তে একটি আবাসনের ফ্ল্যাটে আছেন। সিএবি-তেও এই মহিলাকে দেখা যাচ্ছে। যদিও মোম যেদিন সিএবিতে গিয়ে স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে চান, অপমান করে তাঁকে কোনও কোনও কর্মী সরিয়ে দেন বলে অভিযোগ।
পারিবারিক সূত্রে খবর, সৌরভ, স্নেহাশিসের মা নিরূপাদেবী মোমের পক্ষে। মোমের কন্যা বিদেশে কর্মজীবনে সবেমাত্র প্রবেশ করেছেন। মোম গঙ্গোপাধ্যায় বাড়িতে থাকলেও স্নেহাশিস তাঁর বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারার নোটিস দিয়েছেন বলে খবর। ফলে মোমকেও আইনি রক্ষাকবচ নিতে হয়েছে। লন্ডনে মেয়ের কাছে থেকে সবে ফিরেছেন ডোনা। সৌরভ নিজেও বাড়ির গোলমালে মহা অস্বস্তিতে। কিছুদিন আগে তিনি দাদা বৌদিকে নিয়ে মুখোমুখি বসলেও সমস্যা মেটেনি। স্নেহাশিসের উগ্র আচরণে মোম আরও মর্মাহত হন। সৌরভ নীরব দর্শক ছিলেন।
সিএবি সভাপতির অন্দরমহলের খবর এখন ময়দানে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে। যেহেতু সৌরভ তথা গঙ্গোপাধ্যায় পরিবার জড়িত, তাই কৌতূহলের পারদ চড়ছে। মোম বিবাহবিচ্ছেদের চাপে নতিস্বীকার না করে লড়াই চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কন্যা পুরো মায়ের পাশে। অন্যদিকে হঠাৎ অন্য মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে হাবুডুবু স্নেহাশিস মোমের উপর চাপ বাড়াচ্ছেন। প্রশ্ন উঠেছে, একজন মহিলা অভিযোগ করলেও ঠাকুরপুকুর থানা নিষ্ক্রিয় কেন? অন্য ক্ষেত্রে যা হয়, এখানে ব্যতিক্রম কি শুধু প্রভাবশালী পরিবার বলে? আইনজীবীরা বলছেন মোম হাইকোর্টে গেলে বিপাকে পড়বেন থানার অফিসাররা।