নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এবার ধৃত বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করার অনুমতি চাইল সিবিআই৷মঙ্গলবার সেই অনুমতিও দিয়েছে আদালত৷ এ দিন আদালতে সিবিআই দাবি করে, ধৃত বিধায়কের একটি মোবাইল ফোন থেকে প্রায় একশোটি অডিও ফাইল উদ্ধার করা হয়েছে৷ যেগুলি এই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে৷
উল্লেখ্য, গত ১৪ এপ্রিল মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই৷ অভিযোগ, সিবিআই তল্লাশি চলাকালীনই নিজের দুটি মোবাইল ফোন বাড়ির পুকুরে ফেলে দেন তিনি৷ তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতেই তৃণমূল বিধায়ক এমন কাণ্ড ঘটান বলে অভিযোগ তদন্তকারীদের৷এই ঘটনায় রীতিমতো বিড়ম্বনায় পড়ে সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা।বহু কাঠখড় পুড়িয়ে সেই ফোন উদ্ধার করে সিবিআই৷ এর পর সেই ফোন থেকে তথ্য উদ্ধারের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার কাছে পাঠানো হয়৷এদিন আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী দাবি করেন, বিধায়কের একটি ফোন থেকে ইতিমধ্যে তথ্য উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে৷ যদিও সেই ফোনের বহু তথ্য প্রমাণই ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে৷
তার পরেও ফোন থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় একশোটি অডিও ফাইল৷ সেই অডিও ক্লিপগুলিতে পাওয়া কণ্ঠস্বর জীবনকৃষ্ণেরই কি না, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতেই বিধায়কের ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট করানোর অনুমতি চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷সিবিআই আদালতে জানায়, বিধায়কের দ্বিতীয় ফোন থেকেও তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা চলছে৷
যদিও জীবনকৃষ্ণের আইনজীবী দাবি করেছেন, তিনি একজন জনপ্রতিনিধি৷ তাই তাঁকে জামিন দেওয়া হোক৷ একান্তই জামিন না দেওয়া হলেও জীবনকৃষ্ণকে যাতে আর সিবিআই হেফাজতে না পাঠিয়ে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়, সেই আবেদনও জানান তিনি।শেষ পর্যন্ত আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জীবনকৃষ্ণকে সিবিআই হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক৷ একই সঙ্গে ভয়েস স্যাম্পেল টেস্টের অনুমতি দিয়ে বিচারক জানান, সিবিআই হেফাজতেই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে৷ তবে স্বাধীন সাক্ষীর উপস্থিতিতে নমুনা সংগ্রহ করতে হবে। কোনও ভাবে অভিযুক্তের উপরে কোনও চাপ তৈরি করা যাবে না৷ভয়েস টেস্টের পর তদন্ত নতুন মাত্রা পাবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।




































































































































