হেস্টিংসে বহুতল বাড়ি হোক কিংবা এজেসি বোস রোডে বিলাসবহুল হোটেল, মাঝে মধ্যে ঠিকানা পরিবর্তন হলেও সেন্ট্রাল এভিনিউ সংলগ্ন ৬ নম্বর মুরলীধর সেন লেনের প্রাচীন বাড়িটাই বছরের পর বছর ধরে বঙ্গ-বিজেপির সদর কার্যালয়। তপন সিকদার থেকে তথাগত রায়, রাহুল সিনহা থেকে দিলীপ ঘোষ কিংবা হালে সুকান্ত মজুমদার, রাজ্য বিজেপির সভাপতিকে মূল ঠিকানা এই ৬ নম্বর মুরলীধর সেন লেন। যেখানে বিরোধী দলনেতার জন্যও একটি ঘর বরাদ্দ আছে। এবার নিজের সেই ঘরেই ঢুকতে পারলেন না শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর জন্য বরাদ্দ ঘরের দরজায় ঝুলছে মস্ত বড় তালা।
আরও পড়ুন:এক পোর্টালেই রাজ্যের সব কলেজে ভর্তি! নয়া নিয়ম চালু শিক্ষা দফতরের
চাবি কোথায় কেউ জানে না! অনেক খোঁজাখুঁজির পরও পাওয়া যায়নি চাবি। ফলে বন্ধ ঘর বন্ধই রইল। অগত্যা
রাজ্য দফতরে হাজির হয়েও নিজের ঘরে ঢুকতে পারলেন না শুভেন্দু। দলের সাধারণ পদাধিকারীদের ঘরেই বসতে হলো তাঁকে। কিন্তু প্রশ্ন, শুভেন্দু আসবেন জানার পরও কেন তাঁর ঘরের চাবি খুলে রাখা হল না?
রাজ্য বিজেপির কিছু নেতার কথায়, পার্টি অফিস বদলের প্রক্রিয়া চলছে। মুরলীধর সেন লেনের অফিস তাই অগোছালো। জিনিসপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। তাই হয়তো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না শুভেন্দুর ঘরের চাবি। যদিও শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতাদের প্রশ্ন, সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ কিংবা রাহুল সিনহার ঘরের চাবি হারাল না, কেবল শুভেন্দু অধিকারীরই ঘরের চাবি গায়েব হয়ে গেল? আবার উল্টো দিকের যুক্তি, মুরলীধর সেন লেনের অফিসে শুভেন্দু কালেভদ্রে যান, মাঝে মধ্যে ইচ্ছে হলে ঠিকানা ভুলে চলে আসেন শুভেন্দু, তাঁর ঘরও তেমন খোলা হয় না এবং সেই জন্য ওই চাবির খোঁজও কেউ রাখে না।
শুভেন্দুর ঘরে তালা ঝুলিয়ে চাবি গায়েব করার বিষয়টি নিয়ে অনেকেই আঙুল তুলছেন রাজ্য বিজেপি দফতরের অফিস-সম্পাদক প্রণয় রায়ের দিকে। পার্টি অফিসের সমস্ত বিষয় তাঁর নখদর্পণে। যদিও প্রণয়ের দাবি, “চাবির বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি। তা ছাড়া, শুভেন্দুবাবু যে সাংবাদিক বৈঠক করতে মুরলীধর সেন লেনে আসবেন, সেটাও আমার জানা ছিল না।” এই ঘটনা প্রমাণ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার সঙ্গে তাঁর পার্টি অফিসের সমন্বয়ের অভাব!