”মেরে পাস মা হ্যায়, মমতার পাশে মানুষ”, অনুব্রত গড়ে বার্তা ফিরহাদের

0
1

“গুন্ডা আর সেন্ট্রাল এজেন্সি দিয়ে যতই সাঁড়াশি আক্রমণ চালাও, মেরে পাস মা হ্যায়। এবং তৃণমূলের পাশে মানুষ আছে। মানুষের পাশে মমতা আছে। কেউ কিছু করতে পারবে না।” বীরভূমে দুই তৃণমূল কর্মী খুনে এবার বিজেপি তথা বিরোধীদের সরাসরি হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। শুধু তাই নয়, দোষীদের ধরার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে সময়ও বেঁধে দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী।

সম্প্রতি, মাড়গ্রামে দুই সংখ্যালঘু তৃণমূল কর্মী খুন হন। ওই ঘটনার প্রতিবাদে আজ, মঙ্গলবার মাড়গ্রামে সভায় উপস্থিত ছিলে ফিরহাদ হাকিম এবং সাংসদ শতাব্দী রায়। জোড়া খুনের ঘটনা নিয়ে ফিরহাদ বলেন, ‘‘আগে নানুর, মাড়গ্রাম ইত্যাদি এলাকা সব সময় উত্তপ্ত থাকত। কিন্তু সারা বাংলায় যখন শান্তি আসছে, তখনই ইচ্ছাকৃত ভাবে ওই অঞ্চলগুলোতে হিংসা ছড়াচ্ছে বিরোধীরা।’’

মৃতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘‘ক্ষমা করবেন, আপনাদের স্বামীকে বাঁচাতে পারলাম না। তবে আপনাদের পরিবারের পাশে আমরা সব সময় থাকব।’’ এর পর পুলিশকে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন ফিরহাদ। বলেন, ‘‘প্রাণ এত সস্তা নয়। দোষীদের গ্রেফতার করতেই হবে।’’

এরপরই দলীয় কর্মীদের খুনের ঘটনায় বিজেপিকে নিশানা করে ফিরহাদের অভিযোগ, তৃণমূলের উন্নয়নের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরে এলাকা অশান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে বিরোধীরা। একই গুন্ডা হিন্দু এলাকায় গেলে বিজেপি আর মুসলিম এলাকায় গেলে সিপিএম কিংবা কংগ্রেস হয়ে যায়। আর তৃণমূলকে মারতে পারলেই ফান্ড মেলে। তাই মরতে হচ্ছে তৃণমূল কর্মীদের।

সভামঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও তোপ দাগেন ফিরহাদ। বলেন, “কিছু দিন আগে সিউড়িতে অমিত শাহের সভায় ঝাড়খণ্ড থেকে গুন্ডা এনে মাঠ ভরিয়েছে। মশানজোড় ড্যামের কাছে গাড়ি রেখে টোটো করে এসেছে ওই গুন্ডারা।”

এদিকে সূত্রের খবর, বগটুই গ্রামের মসজিদে গিয়ে ল্যাপটপ দিয়ে এসেছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

আরও পড়ুন- সমলি*ঙ্গ বিয়ের স্বীকৃতি নিয়ে আদালতে আর্জি ৪০০ অভিভাবকের!