মানুষের পঞ্চায়েত গড়ার ডাক: কোচবিহারে এক তিরে BSF-নিশীথকে বিঁধলেন অভিষেক

0
1

বাংলার সীমান্ত থেকে ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচি শুরু করেছেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। আর সেখানে প্রথমদিনের জনসভা থেকেই BSF-র বিরুদ্ধে তুমুল আক্রমণ শাণালেন অভিষেক। একই সঙ্গে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের নিশানায় BJP সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)। এবার পঞ্চায়েতে নিজের প্রার্থী নিজেরাই বছবেন স্থানীয়রা। তৃণমূলের নব জোয়ার কর্মসূচিতে ২ মাস ধরে জনসংযোগ যাত্রা করছেন অভিষেক। তিনি বলেন, “যে জেদ নিয়েছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মানুষের পঞ্চায়েত উপহার দেব, সেটা পূরণ করবই“।

সীমান্তবর্তী এলাকায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অত্যাচারের অভিযোগ তুলে তীব্র আক্রমণ করেন অভিষেক। বিধানসভা নির্বাচনের সময় শীতলকুচিতে বিএসএফের গুলি চালানোর কথা মনে করে তিনি বলেন, “২০২১ সালে ১০ এপ্রিল শীতলকুচিতে ভোট চলার সময় কী হয়েছে দেখেছেন। নিরীহ মানুষকে বিএসএফ গুলি করে মেরেছে। একটা লাঠি কারও হাতে ছিল না। এদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে হবে। প্রেমকুমারকে গুলি করে মেরেছে। মোজাফ্ফর মাছ ধরতে যান। ওইদিন এলেন না। পরদিন পুকুরে দেহ পাওয়া গেল। মাথায় গুলি। ওর হাতে বোম-বন্দুক ছিল না।”

এরপরেই এই ঘটনার রেশ টেনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা স্থানীয় সাংসদ নিশীথ প্রমাণিকের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন অভিষেক। বলেন, “কোচবিহারের মানুষ এই বিএসএফের মন্ত্রীকে নির্বাচিত করেছিলেন। এটা লজ্জার। এই লজ্জার প্রতিবাদ করতে হবে। তৃণমূলের হাত শক্ত করতে হবে।“ পঞ্চায়েতে বিজেপিকে শূন্য করে দেওয়ার ডাক দেন অভিষেক। এর আগে তৃণমূলের থেকে এই অঞ্চলে মুখ ফিরিয়ে ছিলেন স্থানীয়রা। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, “যাঁরা দীর্ঘদিন কোচবিহার-আলিপুরদুয়ার-জলপাইগুড়িতে ভোট নিয়ে কেটে পড়েছে তাদের চিনে রাখুন। এবার আর ধর্মের ভিত্তিতে ভোট নয়।“ অভিষেকের কথায়, রাম মন্দির ইস্যু নিয়ে একাংশ ভোট দিয়েছিল। রাম মন্দির হচ্ছে। আর কিছু না। এটাই বাস্তব।

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিযোগ, “রাজ্যে ভোটে হারার পরে বাংলাকে ভাতে মারার চেষ্টা করছে। কিন্তু বাংলা দিল্লির কাছে মাথানত করবে না।“

অভিষেকের স্পষ্ট বার্তা, “কলকাতা থেকে প্রতিশ্রুতি নিয়ে এসেছি, শান্তিপূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত অবাধ ভোট হবে। তার প্রথম ধাপ সঠিক প্রার্থী বাছাই করা। যে সিপিএম বিজেপি করবে না। কোনও ধর্ম থাকবে না। ধর্ম হবে মানুষের কাজ করা। মানুষের ধর্ম মানুষকে ফিরিয়ে দিতে এসেছি।“