অমর্ত্য সেনকে ফের নোটিশ, বিশ্বভারতীর নি.ন্দায় সরব বিদ্বজনেরা! 

0
3

নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদের (Nobel laureate economist) সঙ্গে যে আচরণ করছে বিশ্বভারতী (Visva Bharati), তার নিন্দায় এবার সরব হলেন বিদ্বজনেরা। বিশ্বভারতীর বর্তমান উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Bidyut Chakraborty) স্পষ্ট করে জানিয়েছেন নোটিশের নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে অমর্ত্য সেন (Amartya Sen) জমি ফেরত না দিলে পরবর্তীতে বলপূর্বক সেই জমি নাকি ফেরত নিয়ে নেওয়া হবে। এরপরই সরব হয়েছেন পবিত্র সরকার (Pabitra Sarkar) থেকে শুরু করে বাদশা মৈত্র (Badshah Moitra), সব্যসাচী চক্রবর্তী, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rahul Arunoday Banerjee) মতো ব্যক্তিত্বরা। এই বিষয়ে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি তুলেছেন তাঁরা। জমি-প্রশ্নের মীমাংসা নয়, জল ঘোলা করা এবং সেই ঘোলা জলে অধ্যাপক সেনের সম্মানহানি ঘটানোই যে বিশ্বভারতীর বর্তমান উপাচার্যের প্রকৃত লক্ষ্য সেটাই সকলের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আগেই অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এবার বিশ্বভারতীর আচরণে প্রশ্ন তুললেন বাংলার বিদ্বজনেরাও।

প্রবীণ নোবেলজয়ী অধ্যাপকের কাছে বারবার ‘উকিলের চিঠি’ যাচ্ছে, জমি ফেরত না দিলে ‘বিড়ম্বনা হতে পারে’ বলে জানানো হচ্ছে। এখানেই শেষ নয় অশোভন আচরণ সব সীমা পরিসীমা ছাড়িয়ে গেছে। প্রাতিষ্ঠানিক সভায় উপাচার্য ক্রমাগত হাস্যকর ও উদ্ভট অভিযোগ তুলছেন। অথচ বিশ্ব ভারতের মতো বিশ্ববিদ্যালয়েএমন ঘটনা ঘটছে জেনেও কেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) নীরব রয়েছেন এবার সেই প্রশ্ন ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ ইতিমধ্যেই বলতে শুরু করেছে যে, অমর্ত্য সেনকে বিব্রত করলে হয়তো বিশ্বভারতীর বর্তমান উপাচার্যের উন্নততর কেরিয়ার তৈরি করতে সুবিধা হবে। দিল্লীশ্বরদের প্রিয়পাত্র হওয়ার জন্য কঠোর ও দ্বিধাহীন সমালোচনায় অত্যন্ত নির্লজ্জভাবে প্রবীণ অধ্যাপককে যেভাবে হেনস্থা করছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য, তা যথেষ্ট নিন্দনীয় ঘটনা বলেই মত বাংলার বিশিষ্টদের।