আর ৮ ঘণ্টা নয়, এবার দৈনিক কাজের সময় বেড়ে দাঁড়াল ১২ ঘণ্টা। শুক্রবার এই সংক্রান্ত একটি বিল পাশ হল তামিলনাড়ু বিধানসভায় (Tamil Nadu Assembly)। ১৯৮৪ সালের শ্রম আইনের (Workers Law) সংশোধন চেয়েই বিলটি পাশ করা হয়েছে। যেখানে দৈনিক কাজের সময় ৮ থেকে বেড়ে ১২ ঘন্টা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে বিধানসভায় বিলটি পেশ করা হয়। শুক্রবার বিধানসভা অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিষয়টি জানান, শ্রমমন্ত্রী সিভি গণেশন। তিনি সাফ জানান, সংশোধিত ১২ ঘণ্টা দৈনিক কাজের সময়সীমা সেই সমস্ত সংস্থা এবং কারখানাগুলিতে কার্য(CV Ganeshan) কর হবে, যেখানে শ্রমিকরা এই বিষয়টিকে মান্যতা দেবেন। জোর করে এই সময়সীমা শ্রমিকদের উপর চাপিয়ে দেওয়া যাবে না।
তবে শ্রমমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, বিলটি সাপ্তাহিক ছুটি এবং অতিরিক্ত মজুরির ক্ষেত্রে কোনও প্রভাব ফেলবে না। তবে এই সংশোধনী আরও বেশি করে শিল্পের মানোন্নয়ন ঘটাবে। তবে শুধু কাজের সময় বাড়ানই নয়, আগে ভালো করে দেখতে হবে ফ্যাক্টরিতে শ্রমিকদের নিরাপত্তা কোন পর্যায়ে রয়েছে। আর তারপরই তা অনুমোদন পাবে। তবে বিলটির বিরোধিতায় ইতিমধ্যে সরব ক্ষমতাসীন ডিএমকে (DMK) সহ সিপিআই (CPI), সিপিআইএম (CPIM), কংগ্রেস (Congress), এমডিএমকে (MDMK)। তবে এদিন বিলের বিরোধিতায় তুমুল হইচই শুরু হয় বিধানসভার অন্দরে। তারপরই বিজেপি (BJP) এবং পিএমকের (PMK) মতো বিরোধী দলগুলি হাউস থেকে ওয়াক আউট (Walk Out) করে।
উল্লেখ্য গত ফেব্রুয়ারিতে, কর্ণাটক বিধানসভাতেও (Karnataka Assembly) ফ্যাক্টরিস সংশোধন বিল, ২০২৩ পাশ করানো হয়। রিপোর্ট অনুসারে, ২০২০ সালের মে মাসে, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, গোয়া, উত্তরাখণ্ড, অসম, পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং হিমাচল প্রদেশ সহ ১০টিরও বেশি রাজ্য শ্রম আইন সংশোধন করার প্রস্তাব করেছিল। এরপর কেন্দ্রীয় সরকার দৈনিক কাজের সময়সীমা বাড়িয়ে ৮ ঘন্টা থেকে বাড়িয়ে ১২ ঘণ্টা করার নির্দেশ জারি করে, কিন্তু ২০২০ সালের মে মাসে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।