মোহালিতে পাঞ্জাবের ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। আর ব্যাট করতে নেমে তাঁদের দুই ওপেনার বৃহস্পতিবার বুঝিয়ে দিলেন, ফর্মে থাকলে রীতিমতো ত্রাস হয়ে উঠতে পারেন বিপক্ষ দলের বোলারদের কাছে। কিন্তু বিরাট-ডুপ্লেসি যেভাবে শুরু করেছিলেন, তাতে মনে হচ্ছিল পাঞ্জাবের সামনে একটা বিরাট টার্গেট হয়তো খাড়া করতে পারবে বেঙ্গালুরু। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হল না। বিরাট-ডুপ্লেসি আউট হয়ে প্যাভেলিয়নে ফেরার পরই স্তব্ধ হয়ে যায় বেঙ্গালুরুর রানের গতি। শেষ পর্যন্ত চার উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রানের টার্গেট পাঞ্জাবকে দেয় বেঙ্গালুরু।
পাঞ্জাবের বিপক্ষে ম্যাচে বেঙ্গালুরুর হয়ে ৪৮টি অর্ধ্বশতরান করার নতুন রেকর্ড গড়লেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। প্রায় ১৫ ওভার অবধি দুই ওপেনার ডুপ্লেসি এবং বিরাটই দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্চিলেন। একটা সময় মনে হচ্ছিল যে এঁরা দুজনেই হয়তো ২০ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করবেন। আর কাউকে ব্যাট হাতে নামার প্রয়োজন হবে না।
৪৭ বলে্ ৫৯ রান করে বিরাটকে প্যাভিলয়নে ফেরত পাঠান হরপ্রীত বারার। তবে বিরাট আউট হওয়ার পরই ব্যাট হাতে মাঠে আসা ম্যাক্সুয়েল ব্যর্থ হলেন একেবারেই। শূণ্য রানে আউট হলেন তিনি। এরপর দীনেশ কার্তিককে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন ডুপ্লেসি। ব্যক্তিগত ৮৪ রানের মাথায় তাঁকে প্যাভিলয়নে পাঠান নাথান ইলিশ। মাত্র ৫৬ বল খেলে ৫টা চার ও ৫টি ছয়ের সাহায্যে এই রান করেন ডুপ্লেসি। তবে দীনেশ কার্তিকও বেশিক্ষণ ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেন নি। মাত্র ৭ রান করেই প্যাভিলয়নে ফিরতে হল তাঁকে।
বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ম্যাচে পাঞ্জাব দলে বৃহস্পতিবারও খেললেন না দলনেতা শিখর ধাওয়ান। তাঁর পরিবর্তে দলনায়কের ভূমিকা পালন করেন সাম কারেন। এবং দলে বেশ কিছু পরিবর্তন করেন পাঞ্জাব টিম কর্তৃপক্ষ। নাথান -এর জায়গায় চূড়ান্ত দলে স্থান পান লিভিংস্টোন। এবং একই সঙ্গে চূড়ান্ত দলে স্থান পান রাবাডাও।