আতিক খু.নের পরিকল্পনা বহুদিনের, কীভাবে ‘সাংবাদিক যোগ’? জানাল যোগী পুলিশ

0
1

আতিক আহমেদ (Atiq Ahmed) ও তার ভাই আশরাফ আহমেদের (Ashraf Ahmed) খুনের ঘটনায় রীতিমতো শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। ইতিমধ্যে যোগীরাজ্য উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) আইনশৃঙ্খলা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। জেল হেফাজতে থাকার পর আতিক-আশরাফকে মেডিক্যাল চেক আপের (Medical Check Up) জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিক সেজে এসে তাদের দুজনকে পুলিশের সামনেই খুন করে কয়েকজন। ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনজনকে আটকও করেছে পুলিশ। আর অভিযুক্তদের জেরা করেই একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে পুলিশের হাতে। উত্তর প্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, পুলিশ তদন্ত করে জানতে পেরেছে এই খুনের পরিকল্পনা একদিনের নয়, বহু দিনের। বহুদিন আগে থেকেই অভিযুক্তরা সাংবাদিকতার (Journalism) প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন বলেও জানা যাচ্ছে।

উত্তর প্রদেশের কুখ্যাত ‘গ্যাংস্টার’ (Gangster) আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাইকে সাংবাদিকের ছদ্মবেশে হত্যা করেছিল ৩ ঘাতক লভলেশ তিওয়ারি, অর্জুন মৌর্য এবং সানি সিং। উত্তর প্রদেশ পুলিশের দাবি, ওই তিন জনকে কী ভাবে রিপোর্টার এবং ক্যামেরাম্যানের অভিনয় করতে হবে তা শিখিয়েছিলেন তিন জন প্রফেশনাল সাংবাদিক। ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের থেকে তথ্যপ্রমাণ আদায় করে উত্তর প্রদেশের বান্দা থেকে ওই তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি অভিযুক্তদের থেকে বেশ কিছু তথ্যও হাতে এসেছে পুলিশের। আর সেই তথ্যে সংগ্রহের পর বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় পুলিশ। জানা গিয়েছে, এদিন অভিযুক্তদের প্রয়াগরাজ হাসপাতালের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই অভিযুক্তদের দিয়ে আতিক-আশরাফ খুনের ঘটনার পুনঃনির্মান করা হয়।

গত শনিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ প্রয়াগরাজের (Prayagraj) কোলভিন হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় উমেশ পাল হত্যা সহ একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত ‘গ্যাংস্টার’ আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাই আশরাফকে। আর তখনই সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের ভিড়ে মিশে ছিলেন ওই তিন ঘাতক। এরপর কাছাকাছি এলে আচমকাই আতিক এবং তাঁর ভাইকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকেন তাঁরা। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আতিক এবং তাঁর ভাই। মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে দিতে আত্মসমর্পণ করেন তাঁরা। তবে পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার হাসপাতাল চত্বরে খুন হয় আতিক এবং আশরাফ। কিন্তু শুক্রবার নয়, আতিকদের খুনের দিনক্ষণ বেছে নেওয়া হয়েছিল বৃহস্পতিবার। সেদিন আতিকদের প্রয়াগরাজ আদালতে তোলা হয়। আর সেই সময়ই আহমেদ ভাইদের খুন করার কথা ছিল দুষ্কৃতীদের। কিন্তু আদালত চত্বরে পুলিশি নিরাপত্তার বহর দেখে ফিরে যায় দুষ্কৃতীরা। তারপর থেকেই সুযোগ খোঁজা শুরু হয়। আর তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফল মেলে হাতেনাতে। আর শুক্রবার হাসপাতাল চত্বরে পুলিশের চোখের সামনে সাংবাদিকের ছদ্মবেশে তিন দুষ্কৃতী পর পর গুলি চালায় আতিক ও তাঁর ভাইকে লক্ষ্য করে। সেখানেই মৃত্যু হয় দু’জনের।

তবে ঘটনার পরই পুলিশি ঘেরাটোপে থাকলেও কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে দেশ জুড়ে প্রশ্ন উঠছে। পুলিশের কর্তব্যে গাফিলতি ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ তুলে সরব বিরোধীরা।