আইপিএলে ম্যাচ ফি*ক্সিংয়ের জন্য হু*মকি ফোন, বিসিসিআইয়ের দ্বারস্থ RCB-র মহম্মদ সিরাজ

0
1

চলতি আইপিএলে তাঁকে ম্যাচ ফিক্সিং করার জন্য এক অপরিচিত ব্যক্তি টাকার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এমনই অভিযোগ জানিয়ে বিসিসিআই-এর অ্যান্টি কোরাপসন ডিপার্টমেন্টের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন রয়্যাল চেলেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর খেলোয়াড় মহম্মদ সিরাজ। তিনি বর্তমানে রাজস্থান দলের একজন সফল বোলার। এবং ম্যাচ চলাকালীন তাঁকে রীতিমতো হুমকি দেওয়া হচ্ছে দেখে তিনি পুরো ঘটনাটি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অ্যান্টি কোরাপসন বডির সদস্যদের জানান। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, যে ব্যক্তি এই ধরনের কাজ করছে সে রয়্যাল চেলেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু দলের সঙ্গে কোনও না কোনওভাবে যুক্ত।

রয়্যাল চেলেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু গত ম্যাচে চেন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে চেন্নাইয়ের কাছে মাত্র ৮ রানে হেরেছে। মূলত সেই ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ওভারে বল হাতে আরসিবি দলকে হারাতে একাই বড় নিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার বোলার পার্থিরানা। তাঁর বোলিং-এর সামনেই শেষ পর্যন্ত ২২৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে গিয়ে ২১৮ রানেই গুটিয়ে যায় চেন্নাই। সিরাজ আরও বলেছেন, যে ব্যক্তি তাঁকে এই ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অফার দিয়েছিল সে হায়দরাবাদের একজন গাড়ির চালক। এবং সে নিয়িমত বেটিং চক্রের সঙ্গেও যুক্ত। ওই ব্যক্তি একটা বিরাট অঙ্কের টাকা বাজি ধরেছিল, তাই সে সিরাজকে ম্যাচ ফিক্সংয়ের অনুরোধ করে। বিসিসিআই-এর তদন্তকারী অফিসাররা তদন্ত করে এমনই তথ্য জানতে পেরেছেন বলে জানা গিয়েছে।

এই বিষয়ে সিরাজ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রিপোর্ট জমা দিতে অনুরোধ করেছেন। এবং তদন্তের স্বার্থে ওই ব্যক্তির নাম এখনই প্রকাশ্যে আনতে চানন না তদন্তকারী অফিসাররা। এই বিষয়ে সিরাজ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রিপোর্ট জমা দিতে অনুরোধ করেছেন। এবং তদন্তের স্বার্থে ওই ব্যক্তির নাম এখনই প্রকাশ্যে আনতে চানন না তদন্তকারী অফিসাররা।বিসিসিআই অ্যান্টি কোরাপসন কমিটিতে রয়েছেন জাভাগল শ্রীনাথ, অঙ্কিত চেভান, অজিত চান্দিলা চেন্নাই সুপার কিংসের দলের প্রিন্সিপাল গুরুনাথ মানিওয়াপ্পান।

এরপরই দুটি দলকে একই হোটেলে রাখার পাশাপাশি সেই হোটেলেই রাখা হয়েছে অ্যান্ট কোরাপসন বডির আধিকারিকদেরও। তাঁরাই দুটি দলের সমস্ত সদস্যদের আচরণবিধির দিকে নজর দেওয়ার পাশাপাশি নজর দেওয়া হয়েছে মাঠ মনিটারিংয়ের ক্ষেত্রেও। প্রসঙ্গত, ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কাণ্ডে যাতে কোনও দলের খেলোয়াড়রা না জড়িয়ে পড়েন তার জন্য বিসিসিআইয়ের কর্মশালারও আয়োজন করা হয়েছিল। এবং প্রতিটি খেলোয়াড়ের উপস্থিতি সেখানে ছিল বাধ্যতামূলক।

উল্লেখ্য বাংলাদেশের ক্রিকেটার শাকিব আল হাসানকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অনুরোধ করা হয়েছিল, কিন্তু শাকিব সেই তথ্য গোপন করে গিয়েছিলেন। তারফলেই ২০২১ সালে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়।