মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গতকালই গ্রেফতার করেছে সিবিআই।তাকে জেরা করে এ বার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির খোঁজ পেল সিবিআই।কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এই সম্পত্তির পরিমাণ কোটি কোটি টাকা!এরই পাশাপাশি বেনামে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেয়েছে সিবিআই।তাঁর স্ত্রীর নামেও একাধিক অ্যাকাউন্টেরও খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। সেই অ্যাকাউন্টগুলি খতিয়ে দেখছে সিবিআই।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের পাশাপাশি অন্য জেলায় তৃণমূল বিধায়কের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিভিন্ন সূত্রে এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, সাঁইথিয়ায় একটি চালকল, দু’টি হিমঘর, একটি বাড়ি ছাড়াও সাঁইথিয়া থানার অন্তর্গত লাউটরি মৌজায় প্রায় ২০-২২ কাঠা জমি রয়েছে জীবনকৃষ্ণের।
এ ছাড়াও সাঁইথিয়া পুরসভা এলাকায় একাধিক জায়গায় তাঁর জমি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই জমির আনুমানিক বাজারমূল্যই নাকি প্রায় চার-পাঁচ কোটি টাকা। শুধু সাঁইথিয়াতেই নয়, বোলপুরের তাতারপুর, বাঁধগোড়া, তালতোড় মৌজা মিলিয়ে তাঁর প্রায় ২১৫.৪৭ শতক অর্থাৎ ১৩০ কাঠার বেশি জমি রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই জমির আনুমানিক বাজারদর প্রায় ৬ কোটির উপর। সরকারি নথি অনুযায়ী, জীবনের নামে এই সমস্ত জমি রেকর্ড হয়েছে ২০১৩-২০২২ সালের মধ্যে। জীবনকৃষ্ণের স্ত্রী টগরের নামেও আন্দি বাজার এলাকায় জমি এবং বাড়ি আছে। যার বর্তমান মূল্য প্রায় ২কোটি টাকা।
সিবিআইয়ের দাবি, বীরভূমের অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল জীবনকৃষ্ণের। আর সেই সূত্রেই তাঁর যাবতীয় ‘লক্ষ্মীলাভ’। ২০১২-১৩ সাল থেকে কৃষ্ণ-কেষ্ট আঁতাঁত তৈরি হয় বলেও দাবি করা হচ্ছে।এরই পাশাপাশি, জীবনকৃষ্ণ বীরভূমে কেন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন সেটাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরে।
সিবিআই সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, চাকরি বিক্রির এজেন্ট হিসাবে কাজ করতেন জীবনকৃষ্ণ। ২০১৪ সালে চাকরি বিক্রি করে তিনি অনেক টাকা রোজগার করেছিলেন বলেও সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে।
সিবিআইয়ের দাবি, জীবনকৃষ্ণ নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র।