ভাঙড়ের মাঠে পুড়ছে সরকারি নথি! তথ্য অনুসন্ধানে হাজির সিবিআই

0
3

দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের মাঠে পুড়ছে সরকারি নথিপত্র। খবর পাওয়া মাত্রই ছুটে যান সিবিআই আধিকারিকরা। অর্ধেক জ্বলে যাওয়া নথি সংগ্রহ করছেন তাঁরা। তবে কীসের নথি, কারা জ্বালিয়ে দিচ্ছিলেন, সে বিষয়ে এখনও কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। কোন সত্য গোপন করতে কোন গুরুত্বপূর্ণ নথি জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছিল, তা খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।
মঙ্গলবার সকালে ভাঙড়ের আন্দুল গড়িয়া এলাকায় একটি মাঠের মধ্যে সরকারি নথি পুড়তে দেখা যায় বলে অভিযোগ। ওই মাঠটি পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে কে বা কারা মাঠে নথিপত্র জড়ো করে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেয়। দেখা যায়, বিশাল এলাকা জুড়ে নথিপত্রে আগুন জ্বলছে। সেগুলি কিসের নথি, কেনই বা তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
ভাঙড়ের মাঠে যে নথিপত্র পুড়িয়ে দেওয়া দচ্ছিল, সেগুলি সরকারি নথি বলেই দাবি করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।বেশ কিছু আধপোড়া নথি উদ্ধার করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, নথিগুলি বিহার সরকারের। বিহারের ২০০৮ ও ২০১০ সালের কৃষি ও ফিশারি দফতরের নথি। সিবিআইয়ের প্রাথমিক অনুমান, এগুলি সব সরকারি অডিটের নথি। নথিগুলি উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। তেলেঙ্গানার কিছু নথিও পোড়ানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এ রাজ্যের কোনও নথি তার মধ্যে আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে সিবিআই। ঘটনার পিছনে কে বা কারা রয়েছে সে বিষয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত।এমনকী, বিহার থেকে এই নথি কিভাবে এখানে এলো তার খোঁজও চলছে।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজেশ সিং নামে এক ব্যক্তি ওই জমির মালিক। রাজেশ সিংয়ের বাড়ি বিহারে। তিনি এই জমিটি স্থানীয় প্রমোটার গৌতম মণ্ডল বিক্রি করেছিলেন। ক্যাপ্টেন তিওয়ারি পরে রাজেশ সিংয়ের কাছ থেকে জমিটি কিনেছিলেন। এরপর একাধিকবার জমিটি হাত বদল হয়েছে।