বিজেপি টাটাকে ‘ফুলের মালা পরিয়ে’ ফেরাবে, শুভেন্দুর দাবিকে পাগলের প্রলাপ বলছে তৃণমূল

0
1

সিঙ্গুরে জমি আন্দোলনের সময় তিনি ছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলের নেতা। বর্তমানে তিনি বিজেপিতে। মঙ্গলবার তাঁর আশ্বাস, বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় আসলে টাটা শিল্প গোষ্ঠীকে ‘ফুলের মালা পরিয়ে’ ফিরিয়ে আনা হবে।

সিঙ্গুরের বড়া হাওয়াখানা এলাকায় বিজেপির জনসভায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন , মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিঙ্গুর আন্দোলনের উদ্দেশ্য মোটেই কৃষি জমি ফিরেয়ে দেওয়া ছিল না।
জমি আন্দোলন নিয়ে তার যুক্তি, আমরা সিপিএমের জমি নীতির বিরোধী ছিলাম। কারণ ১৮৯৪ সালের ব্রিটিশদের জমি আইন বস্তা পচা ছিল। তবে আমরা শিল্পের পক্ষে। বরং তার প্রতিশ্রুতি, বিজেপি যদি রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তাহলে টাটাকে ফুলের মালা পড়িয়ে রাজ্যে আনা হবে।
শুভেন্দুর এই দাবিকে কটাক্ষ করে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ‌্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই ছিলেন শুভেন্দু। যদি সিঙ্গুরে ওঁর তৃণমূলের নীতি পছন্দ না হয় তাহলে তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ, কৃষি জমি বাঁচাও আন্দোলন জিন্দাবাদ, এসব বলে লোকসভায় চলে গেলেন। তখন কেন কিছু বলেননি? আজ ২০২৩ সালে এসে বলছেন সেটা ভুল ছিল।
বিরোধী দলনেতার এই ‘দ্বিচারিতা’র জবাব দিতে বিরোধী দলনেতাকে তুলোধনা করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তার সাফ কথা, সিঙ্গুর আন্দোলন হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। পরে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন মমতা। তার উপর দাঁড়িয়ে অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেডের এক একজন এক একটা পদে বসে গেলেন। শুভেন্দুর বাবা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হলেন। আর শুভেন্দু সিবিআই-ইডি থেকে বাঁচতে বিজেপিতে গিয়ে এখন ২০২৩-এ বিজেপির জন‌্যই ঘেউ ঘেউ করছেন। সিঙ্গুরে একসময় যে মিছিলে শুভেন্দু থাকতো, কৃষকদের লড়াইয়ে বলতো আমিও আছি। আর এখন বলছে সেটা ভুল ছিল। অকৃতজ্ঞ-বেইমান , তাই এইসব প্রলাপ বকছে।
এরই সঙ্গে শুভেন্দু এদিন দাবি করেন, বিজেপির ৭০ জন বিধায়ক রাজ্যের সরকার ফেলে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। শুভেন্দুর এই দাবিকে পাগলের প্রলাপ ও মস্তিষ্ক বিকৃতি বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।