গ্রেফতার হয়েছেন মুর্শিদাবাদের বড়ঞা’র বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। দীর্ঘ ৬৫ ঘন্টা পর তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। সোমবার সকাল ১২ টা নাগাদ তাকে নিয়ে আসা হয় আলিপুর আদালতে। তার আগে হয় মেডিক্যাল টেস্ট। সোমবার বিকেল চারটের সময় জীবনকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। আদালত জীবনকে চারদিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়েছে।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, পুকুর পাড় থেকে আরও একটি মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। মিলেছে তিন হাজার পাতার নথি। টাকা লেনদেনের তথ্য ও চাকরিপ্রার্থীদের নাম ও সেই সম্পর্কিত বহু কাগজ পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, নজরে রয়েছেন আরও দু’ই বিধায়ক। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, বড়ঞা’র বিধায়কের মোবাইলে চ্যাট থেকে পাওয়া গিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
আরও জানা গিয়েছে, কাকে কত টাকা পাঠানো হয়েছে উঠে এসেছে তাও। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে শেষ লেনদেন হয়।সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই বিধায়কের পাঠানো ‘ক্যান্ডিডেট লিস্ট’-ও মিলেছে। উল্লেখ রয়েছে ওই বিধায়কদের নাম। অভিযোগ, টাকা দিয়েও অনেকে চাকরি পাননি। আরও বেশি টাকা দিয়ে সেই চাকরি পেয়েছেন অন্য কেউ।
সূত্রের খবর, এক বিধায়ক নবগ্রামের। তাঁর নাম কানাই মণ্ডল। অন্যজন বীরভূমের এক বিধায়ক। উল্লেখ্য, কানাইকে ইতিমধ্যেই তলব করেছে সিবিআই। আর এহেন পরিস্থিতিতে, ‘তৃণমূল বিধায়কদের টার্গেট করা হচ্ছে, এটা একটা গেম প্ল্যান’, বিধানসভায় তৃণমূল বিধায়ক সংখ্যা কমানোর চক্রান্তের অভিযোগ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো।