আতিথেয়তায় ত্রুটি রাখছেন না মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। দুর্বিষহ গরম আর অস্বস্তিকর আবহাওয়ার মধ্যে শুক্রবার থেকে টানা তার বাড়িতে রয়েছে সিবিআই আধিকারিকদের একটি দল। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তকারীরা এখন বিধায়কের ছুড়ে ফেলা দ্বিতীয় মোবাইল ফোনটি খুঁজছেন। সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদও চলছে।
গরমের হাত থেকে রেহাই পেতে শুক্রবার থেকে সকল এবং সন্ধ্যায় নিয়ম করে শসা খাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। স্থানীয় বাজার থেকে আসছে সেই শসা। তবে নুন কিন্তু জীবনকৃষ্ণেরই বাড়ির। সিবিআই আধিকারিকদের শসা খাওয়ার সময় প্রয়োজনীয় নুন কিন্তু আসছে জীবনের হেঁশেল থেকে।
জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দু’টি দলের মোট ১২ জন বিধায়ককে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। তল্লাশি চলছে জীবনকৃষ্ণের একাধিক ঘর এবং অফিসে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে উদ্ধার হওয়া নথিপত্র। তৈরি হচ্ছে সিজার লিস্ট। প্রায় ৪০ ঘণ্টা ধরে চলা এই টানা অভিযানে সিবিআই আধিকারিকদের খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম যাতে না হয় সেদিকে করা নজর বিধায়কের বাড়ির পরিজনদের ।
দুপুরের এবং রাতের খাবার হোটেল থেকে আসলেও সকালের চা-জলখাবার বা সন্ধ্যায় মুখরোচক খাবারদাবার জীবনকৃষ্ণের বাড়ি থেকেই দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এমনকী, ‘অতিথিদের’ প্রয়োজন মতো ঠান্ডা জলও দিচ্ছেন জীবনের পরিবার। সিবিআই কর্তাদের কোন অসুবিধা না হয় সে কথা মাথায় রেখে একটি মাটির কলসিতে জল ভরে দেওয়া হয়েছে। সেটি তদন্তকারীদের অস্থায়ী ঘরে থাকছে।
শুধুমাত্র এখানেই থেমে থাকেননি বিধায়ক। অতিথি বলে কথা! দু’জন ডায়াবেটিস আক্রান্ত কেন্দ্রীয় আধিকারিকের জন্য তেতো শুক্তোর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন জীবন নিজেই। সিবিআই আধিকারিকরদের ঘরে একটি বড় ‘স্ট্যান্ড ফ্যান’ বসিয়ে দিয়েছেন বিধায়ক।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম দিকে তদন্তে অসহযোগিতা করলেও শনিবার বিকেল থেকে তদন্তকারীদের পূর্ণ সহযোগিতা করছেন জীবনকৃষ্ণ।রবিবার সকালে বিধায়ককে পুকুরপাড়ে এনে খুঁজে পাওয়া মোবাইল শনাক্তকরণের পর মোবাইল ছুড়ে ফেলার ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেন তদন্তকারীরা।রবিবার দুপুরে এখনও চলছে সেই মোবাইল খোঁজার কাজ।




































































































































