পুলিশি ঘেরাটোপে গ্যাংস্টার আতিক এবং আশরাফকে গুলি করে হত্যার পর তোলপাড় পড়ে গিয়েছে গোটা উত্তরপ্রদেশ জুড়ে।অশান্তি এঁড়াতে জোড়া খুনের এক ঘণ্টার মধ্যে গোটা উত্তরপ্রদেশের ৭৫টি জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ। সেইসঙ্গে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে সব রাজনৈতিক দলের জেলা ও রাজ্য কার্যালয়গুলিতে। বিজেপি, এসপি, বসপা, কংগ্রেস— সব দলের পার্টি অফিসের বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:বাংলা সহ ১৩ আঞ্চলিক ভাষায় হবে CAPF পরীক্ষা, বিবৃতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের
দু’দিন আগেই গ্যাংস্টার আতিকের ছেলে আসাদ ও তাঁর সঙ্গী গুলামকে এনকাউন্টারে মেরে ফেলেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। শনিবার দুপুরেই আসাদের কবর হয়েছে। এরপর রাতেই খুন হয়ে যান বাবা ও কাকা।তাও পুলিশের চোখের সামনেই।এই খুনের পেছনে কার হাত থাকতে পারে সেই প্রশ্নই এখন সকলের মুখে! কুখ্যাত গ্যাংস্টারকে পুলিশি নিরাপত্তার ঘেরাটোপে রেখেও কী করে গুলি করা হল আতিক ও আশরফকে? প্রশ্নই উঠছে বারবার! যোগী রাজ্যে তাহলে নিরাপত্তা কোথায়?
প্রসঙ্গত, আতিক এবং আশরাফকে জেল থেকে মেডিক্যাল করানোর জন্য নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। পুলিশের গাড়ি থেকে নামার পর হাসপাতাল চত্বরে হাঁটতে হাঁটতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন আতিক। পরনে ছিল সাদা সুতির ঢোলা একটা জামা। মাথায় বাঁধা ছিল সাদা কাপড়। সেই সময়েই গুলি করে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় আতিককে। সেইসঙ্গে ভাই আশরাফকেও গুলি করে মেরে ফেলা হয়।
গোটা ঘটনায় যোগীর পুলিশের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ উঠে গিয়েছে। হেফাজতে থাকা দুই গ্যাংস্টার খুনের ঘটনায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছে দেশজুড়ে। প্রয়াগরাজে পৌঁছেছেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের শীর্ষ কর্তারা।
এমনিতে পুলিশি এনকাউন্টার নিয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলি যাই বলুক না কেন যোগী আদিত্যনাথদের এ ব্যাপারে বিরাট গর্ব রয়েছে। তাঁরা মনে করেন, এভাবেই অভিযুক্তদের নিকেশ করা উচিত। এমনকী বুলডোজার দিয়ে বাড়ি-ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়াও এখন উত্তরপ্রদেশের চেনা ছবি। তবে আতিক এবং আশরাফকে হত্যা যোগীর পুলিশকেই বিড়ম্বনায় ফেলে দিয়েছে।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.