লখনৌর বুকে ধ্রুপদী লয়, উদযাপিত হল বাংলার নববর্ষ ‘উত্তরী ধ্রুব’ !

0
1

বাংলা নববর্ষ (Bengali New Year) আসতে আর মাত্র একদিন বাকি। চূড়ান্ত প্রস্তুতি বঙ্গসংস্কৃতির আনাচে-কানাচে। কিন্তু দুদিন আগেই নতুন বছরের ছোঁয়া পেল লখনৌ। বাল্মীকি রঙ্গশালা, সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি অডিটোরিয়ামের (Sangeet Natak Academy Auditorium) সামনে যেন ধরা দিল এক টুকরো বাংলা। সন্তোষপুর আগন্তুকের (Santoshpur Agantuk) আয়োজনে বাংলার সংস্কৃতির আবেশ পেলেন লখনৌর (Lucknow) সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষ।

লখনৌ আর জয়পুর ঘরানা মিশে গেল বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে।এই প্রথম লখনৌর বুকে ধ্রুপদী লয়ে উদযাপিত হল বাংলার নববর্ষ ‘উত্তরী ধ্রুব’।কলকাতার কত্থক শিল্পী পিয়ার এডুকেটর ও নৃত্য থেরাপিস্ট টুসি নস্করের মাথায় এই সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের ভাবনা আসে। আর তা থেকেই লখনৌর বুকে বাংলার নববর্ষ পালন। এই অভিনব ভাবনার রূপায়ণ ঘটাল সন্তোষপুর আগন্তুক। সঙ্গী হল লখনৌর শিল্পী মহল। ব্যাস, মুছে গেল সংস্কৃতির সীমারেখা। কলকাতা যে ধ্রুপদী চর্চার পীঠস্থান তা আরও একবার প্রমাণ হল যোগী রাজ্যে। প্রখ্যাত নৃত্য শিল্পী এমিলি ঘোষ সুচারু ভাবে অনুষ্ঠান আয়োজন করেন। কলকাতার শিল্পী দীপান্বিতা গাঙ্গুলি সঙ্গীত পরিবেশন করেন, সরোদ পরিবেশন করেন সিরাজ আলি খান, কত্থক পরিবেশন করেন রাজীব রঞ্জন প্রমুখ। ভিনরাজ্যে বাংলার নববর্ষ পালন করে টুসি নস্করের(Tusi Naskar) তাঁর নৃত্যে ভারতীয় সংস্কৃতির চিরাচরিত ঐতিহ্য ও ভক্তিরস মিলিয়ে দিয়েছেন ।

এই উদ্যোগে খুশি হয়েছেন অনুষ্ঠানে আগত দর্শকরাও। বিশেষ অতিথি উত্তরপ্রদেশের চিফ মেডিক্যাল অফিসার অমরেন্দ্র কুমার বলেন, এই অভিনব উদ্যোগ নিশ্চিতভাবেই আমাদের একসূত্রে বাঁধবে। এই ধরনের ভাবনাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তিনি। পন্ডিত রামমোহন মহারাজ জানান, লখনৌর বুকে বাংলার নববর্ষ পালনের এই উদ্যোগ পথ প্রদর্শক হিসাবে থেকে যাবে। আয়োজক সন্তোষপুর আগন্তুকের সম্পাদক অরিজিৎ মুখোপাধ্যায়  বলেন, মেল বন্ধনের পাশাপাশি সংস্কৃতির পরম্পরা ধরে রাখতে আরও যত্নশীল হওয়ার বার্তা দেন।