দক্ষিণ দমদম পুরসভায় মোট ৩৫টি ওয়ার্ড। তার মধ্যে একজন কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। দু’জন কাউন্সিলর তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিতেছেন। তাই ৩২ জন দলীয় কাউন্সিলরকে বৈঠকে ডেকেছিল জেলা নেতৃত্ব। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে এই বৈঠকে ১৭ জন কাউন্সিলর গরহাজির থাকেন।
এই ঘটনার পরই তাঁদের শোকজ করা হয়েছে। এমনকী আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে। তবে এই ঘটনা প্রকাশ্যে চলে আসায় দলের অস্বস্তি বেড়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় বিধায়ক, সাংসদ থাকার পরও এমন ঘটনায় জল্পনা শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ডাকা হয়েছিল ওই বৈঠক। তাপসবাবু ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সৌগত রায়, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, যুবনেতা দেবরাজ চক্রবর্তী, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি বাণীব্রত চক্রবর্তী–সহ অন্যান্যরা।
অন্যদিকে এদের মধ্যে দু’জন কাউন্সিলরকে শোকজ করা হচ্ছে না।কারণ, অনুপস্থিত এই ১৭ কাউন্সিলারের মধ্যে একজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। আর একজন মহিলা কাউন্সিলরের সদ্য সন্তান হওয়ায় তিনি আসতে পারেননি। তবে এই বৈঠকে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারপার্সন কস্তুরী চৌধুরী এবং ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই দত্ত–সহ পুরসভার অন্যান্য কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের সামনেই এই শোকজের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর।
আগাম সময় দিয়ে বৈঠক ডাকা হলেও কাউন্সিলরদের গরহাজির নিয়ে ক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাই অনুপস্থিত কাউন্সিলরদের কারণ জানাতে বলা হয়েছে।
দমদমের বিধায়ক ব্রাত্য বসু বলেছেন, কাউন্সিলররা না এসে অন্যায় করেছেন। বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসুর বক্তব্য, কাউন্সিলরদের কিছু বলার থাকলে সেটা মিটিংয়ে এসে বলাই উচিত ছিল। পুরপ্রধান কস্তুরী চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সব ওয়ার্ডে কাজের সমবণ্টন করি। কাজের খতিয়ান বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয় প্রতিটি বৈঠকে। কাজের ক্ষেত্রে কারও সঙ্গে বৈষম্য করা হয় না।’