এই মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের অন্যতম সফল ও জনপ্রিয় প্রকল্প হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার! বাংলার মহিলাদের মূলত স্বনির্ভর করে তুলে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর এই প্রকল্প চালু করেছিল রাজ্য সরকার। মাসে ৫০০ টাকা ও ১০০০টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাচ্ছে কয়েক কোটি মহিলার। চলতি দুয়ারে সরকার শিবিরে এই প্রকল্পের আওতায় আসার জন্য লক্ষ লক্ষ আবেদন জমা পড়ছে। তবে বিরোধীরা শুরু থেকেই এই প্রকল্পের বিরোধিতায় সরব। “ভিক্ষা” বলে কটাক্ষও করা হয়েছে বাম-বিজেপি-কংগ্রেসের।

তবে হঠাৎ অভিযোগ, মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে নাকি অনেক মহিলার অ্যাকাউন্টে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ঢুকছে না। কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ, উপনির্বাচনের শাসক দল তৃণমূল হেরে যাওয়ার পরই নাকি সাগরদিঘিতে বন্ধ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার! আজ, বৃস্পতিবার একেবারে লক্ষ্মীবারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের দাবিতে বিডিও অফিসের সামনে ধরনায় বসেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।

যদিও সাগরদিঘিতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে গিয়েছে, এমনটা মানতে নারাজ প্রশাসন। তাদের বক্তব্য, বিশেষ কোনও কারণে হয়তো সাগরদিঘিতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা আসতে দেরি হচ্ছে। উপভোক্তারা সকলেই টাকা পেয়ে যাবেন।
এ নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন অধীর চৌধুরীর উদ্দেশ্যে। কুণাল বলেন, “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে কেউ বঞ্চিত হবেন না। কোনও টেকনিক্যাল কারণে হয়তো টাকা ঢুকতে দেরি হচ্ছে। তবে অধীর চৌধুরীকে তৃণমূলের তরফে ধন্যবাদ। এতদিনে তিনি বুঝেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের এই প্রকল্পের উপযোগিতা। আর বুঝেছেন বলেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সপক্ষে ধর্ণায় বসেছেন।”
আরও পড়ুন:অভূতপূর্ব! ‘ধনধান্য’-র শ্রমিক-আর্কিটেক্টদের সংবর্ধনা দেবে রাজ্য: ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর










































































































































