তাহলে কি সফল কুণাল ঘোষের নীতি-শিক্ষা? এবার সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকে ঝড় উঠল তরুণ নেতা।শতরূপ ঘোষকে নিয়ে। শতরূপের ২২ লাখি গাড়ি প্রসঙ্গ উঠে এল বৈঠকে। শতরূপের জীবন-যাত্রার সমালোচনায় মুখর বর্ধমান ও হাওড়া জেলা নেতৃত্ব। অনেকে তো সরাসরি তোপ দেগেছেন কসবা থেকে হারের হ্যাট্রিক করা শতরূপকে।

আরও পড়ুন:তৃণমূল নিয়ে বিরোধীদের এত মাথাব্যথা কেন? খোঁচা কুণালের

সিপিএম সূত্রে খবর, দুটি জেলা থেকে দলের নেতাদের জীবন যাপন সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে। বলা হয়েছে, “ভালো বক্তা মানেই সংবাদমাধ্যমকে ডিল করতে পারবেন এমনটা নয়। তাদের জীবন যাপন নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে।”

প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে সর্বহারা দলের নতুন প্রজন্মের নেতা শতরূপ ঘোষের ভোগবিলাসী জীবনযাত্রার বিষয়টা তুলে ধরেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তৃণমূল নেতার অভিযোগ, শতরূপ বাইশ লাখি গাড়ি চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অথচ, মাত্র দেড় বছর আগে ২০২১ সালে ভোটে দাঁড়িয়ে নির্বাচনী হলফনামাতে শতরূপ নিজের ব্যাঙ্ক একাউন্টে দেখিয়ে ছিলেন মাত্র ২ লক্ষ টাকা।

তাহলে তিনি এখন ২২ লাখ টাকা দিয়ে গাড়ি কিনলেন কী করে? গাড়ি কেনার টাকার উৎস ব্যাঙ্ক লোন হতে পারে। কিন্তু যিনি পার্টির হোলটাইমার তাকে ব্যাঙ্ক কীসের ভিত্তিতে লোন দেবে? দুনম্বর হতে পারে তাঁর বাবা গাড়ি কেনার টাকা দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন আসবে টাকা যদি বাবা দেয় তাহলে বাবার নামেই তো গাড়ি কেনা যেত।

কুণালের এমন অভিযোগের পর শতরূপ আলিমুদ্দিনে পার্টির সদর দফতরে বসে প্রেস কনফারেন্স করে নিজের স্বপক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে অশালীন মন্তব্য করেন। কিন্তু শতরূপ একবারের জন্যও নীতির প্রশ্নে ব্যাখ্যা করতে পারিনি কেন বামপন্থী দলের নেতা হয়েও তিনি এই বিলাসী জীবন-যাপন করছেন। এবার খোদ রাজ্য কমিটির বৈঠকে দলের নেতাদের তোপের মুখে শতরূপ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বিষয়টিকে কুণাল ঘোষের নৈতিক জয় হিসেবেই দেখছেন।








































































































































