রাজ্যে পরিকল্পিতভাবে অশান্তি ছড়িয়ে উন্নয়নকে আটকে দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। রাজ্যের প্রাপ্য টাকা না দেওয়ার জন্য এই রাজ্যের বিজেপির বিধায়ক ও সাংসদরা কেন্দ্রকে বারবার চাপ দিচ্ছে। বাংলার উন্নয়ন রুখতেই এই রাজ্যের মানুষের প্রাপ্য টাকা কেন্দ্রকে দিতে দিচ্ছেন তাঁরা। মঙ্গলবার হাওড়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের নমঃশূদ্র ও উদ্বাস্তু সেলের হাওড়ার সদর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এক সম্মেলনে গিয়ে বিজেপিকে এভাবেই আক্রমণ করলেন শিল্প ও নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা (Sashi Panja)।
তিনি বলেন ২০২১ এর বিধানসভা ভোটে পরাজয় মানতে না পেরে বিজেপি এই রাজ্যে নানাভাবে গোলমাল পাকিয়ে চলেছে। রাজ্যের প্রাপ্য টাকা আটকে কেন্দ্র আটকে রেখেছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে নানা মিথ্যে অভিযোগে হেনস্থা করার চেষ্টা চলছে। রাজ্যে গোলমাল পাকানোর ছক কষছে। উন্নয়নকে রুখে দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। কিন্তু ওদের এই চক্রান্ত সফল হবেনা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্য জুড়ে যে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলছে তাও আরও দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে চলবে। শত চেষ্টা করেও রাজ্যের উন্নয়ন আটকাতে পারবে না ওরা।
মন্ত্রী আরও বলেন এই রাজ্যের বিজেপির বিধায়ক ও সাংসদদের জিজ্ঞাসা করছি তাঁরা মানুষের পরিশ্রমের টাকা কেন আটকে রাখতে বলছেন? কেন মানুষের প্রাপ্য টাকা দিয়ে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের কাছে দাবি জানাচ্ছেন না তাঁরা। উল্টে এই রাজ্যের মানুষ যাতে তাঁদের প্রাপ্য টাকা না পান তাঁর জন্য বিজেপি কেন্দ্রের কাছে বারবার দাবি জানাচ্ছে। রাজ্যের মানুষই ওদের এর যোগ্য জবাব দিয়ে দেবেন। তিনি বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই রাজ্যের উদ্বাস্তু, নমঃশূদ্র ও মতুয়া সম্প্রদায়ের জন্য সবচেয়ে বেশি কাজ হয়েছে। কোনও রাজ্যে এত কাজ হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন এনআরসি বা ক্যা কিছুতেই হবে না। বিজেপি যতই চেষ্টা করুক, সফল হবে না। তিনি বলেন উন্নয়নের লড়াইয়ে পেরে উঠতে না পেরে বিজেপি এই রাজঋযের নির্বাচিত সরকারকে নানাভবে হেনস্থা করছে। দেশের বিরোধীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। নইলে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ৯৫ শতাংশ কেস কেন বিরোধী দলের বিরুদ্ধে থকবে। এতেই বিজেপির উদ্দেশ্য স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।
এদিনের সম্মেলনে বিজেপিকে কড়া আক্রমণ করে সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন বিজেপি যতই চক্রান্ত করুক সফল হবে না। দুয়ারে সরকারের মধ্যমে মানুষের বাড়িতে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে গেছে। উন্নয়নকে আটকাতে পারবেনা বিজেপি। ওদের এই অপচেষ্টার জবাব আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে আরও একবার পেয়ে যাবে বিজেপি। সম্মেলনে হাওড়া সদরের একাধিক বিধায়ক সহ তৃণমূল বিভিন্ন শাখা সংগঠনের নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনের আগে কামারডাঙা থেকে তৃণমূলের হাওড়া সদর কার্যালয়ের সামনে পর্যন্ত একটি পদযাত্রাও হয়।
আরও পড়ুন- বি.তর্কিত মন্তব্যের জের, সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা নওশাদের