কর্নাটকে খাকি পোশাকে ‘ব্যাঘ্রপ্রকল্প’  দর্শন মোদির, ৬ শতাংশ বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির ঘোষণা

0
2

কর্নাটকের বন্দিপুর ব্যাঘ্রপ্রকল্প পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রের ‘ব্যাঘ্রপ্রকল্প’  কর্মসূচির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে রবিবারই তিনি বাঘের সংখ্যার সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করেন। মাইসুরুতে ব্যাঘ্রপ্রকল্পের অনুষ্ঠানেও যোগ দেন। এই সাফারির পর প্রধানমন্ত্রী সোজা চলে যান মাইশুরুতে কর্নাটক স্টেট ওপেন ইউনিভার্সিটির অনুষ্ঠানে। সেখানেই ২০২২ সালে ব্যাঘ্র সুমারির রিপোর্টও প্রকাশ করেছেন তিনি। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে বাঘের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৯৬৭। যা আগের থেকে ৬ শতাংশ বেশি।

রবিবার সকাল সকাল কর্নাটকের বন্দিপুরে জঙ্গল সফরে বেরিয়েছেন মোদি। পরনে ছিল আদ্যোপান্ত খাকি রঙের পোশাক। খাকি প্যান্টের সঙ্গে জলপাই রঙা টি-শার্ট এবং হাতকাটা একটি জ্যাকেট পরে জঙ্গলে ঘুরতে বেরিয়েছেন তিনি। জিপে চড়ে প্রায় ২০ কিলোমিটার জঙ্গলের রাস্তা পরিদর্শনের কথা রয়েছে তাঁর। বাঘের পাশাপাশি হাতির ক্যাম্পও পরিদর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশের পরেই দেশের সবচেয়ে বেশি বাঘের বাস কর্নাটকের জঙ্গলগুলিতে। বন্দিপুর দেশের সমৃদ্ধ ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রগুলির মধ্যে অন্যতম। বাঘ সংরক্ষণের সঙ্গে যুক্ত প্রথম সারির কর্মী এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির সঙ্গেও রবিবার সাক্ষাত করবেন প্রধানমন্ত্রী। বন্দিপুর থেকে তামিলনাড়ুর মুদুমালাই ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রে থেপাকাডু হস্তি ক্যাম্পে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রতি ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’ নামের যে তথ্যচিত্রটি অস্কার জিতেছে, তার শুটিং এখানেই হয়েছিল। সেখানে গিয়ে ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’-এর হাতি এবং মাহুত দম্পতির সঙ্গেও তিনি দেখা করবেন বলে জানা গিয়েছে।

১৯৭২ সালের শেষ পর্বে টাইগার টাস্ক ফোর্সের রিপোর্ট পেয়ে নড়েচড়ে বসেছিল তৎকালীন ইন্দিরা গান্ধী সরকার। দেখা গিয়েছিল, ভারতে জাতীয় পশুর সংখ্যা মাত্র ১ হাজার ৮২৭টি। তারই পরিণামে ১৯৭৩ সালের নভেম্বরে কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রক ‘ব্যাঘ্রপ্রকল্প’  কর্মসূচি শুরু করেছিল। চলতি বছর অর্ধশতক পূর্ণ হচ্ছে সেই উদ্যোগের। কর্নাটকের বিধানসভা ভোটের আগে সেই কর্মসূচিকেই হাতিয়ার করে দাক্ষিণাত্যে জঙ্গল সফরে বেরিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।এরই পাশাপাশি প্রজেক্ট টাইগারের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি স্মারক মুদ্রাও প্রকাশ করেন  প্রধানমন্ত্রী।