সিদ্ধান্ত নিয়ে চরম বিভ্রান্তি, খেমাশুলিতে এখনও চলছে কুড়মিদের অবরোধ!

0
1

পাঁচ দিন পর পুরুলিয়ার কুস্তাউরে রবিবার উঠেছে কুড়মিদের অবরোধ। যদিও এই অবরোধ তোলা নিয়ে রীতিমতো বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে কুড়মি সংগঠনের মধ্যে।অশ্য ড্যামেজ কন্ট্রোলে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে কুড়মি নেতা অজিতপ্রসাদ মাহাতো জানান, তাঁরা আপাতত বন্‌ধ প্রত্যাহার করেছেন। তবে আগামিদিনে আবার আন্দোলন চলবে। অন্য দিকে, পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলিতে এখনও অবরোধ চলছে। সেখানকার নেতৃত্ব জানাচ্ছেন, তাঁরা এ নিয়ে আলোচনা করছেন এবং তাঁদের কাছে এখনও কোনও নির্দেশিকা আসেনি।
পশ্চিমবঙ্গ কুড়মি সমাজের রাজ্য নেতা রাজেশ মাহাতো রবিবার বলেছেন, ‘‘মানুষের সমস্যা হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু কুড়মি সমাজের যে দাবি, সেটা তো পূরণ হচ্ছে না। প্রশাসনের সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। তাই আন্দোলন বন্ধ হবে না। প্রয়োজনে আরও অন্যান্য জায়গায় অবরোধ শুরু হবে।’’জানা গিয়েছে, রেলের আধিকারিকরা খেমাশুলি যাচ্ছেন। আজকেই ওই লাইনে ট্রেন চালানোর জন্য প্রস্তুতি নিতেই তাদের খেমাশুলি যাত্রা।
রবিবার কুড়মিদের রেল অবরোধ পঞ্চম দিনে পড়েছে। শ্যামাচুলির কাছে জাতীয় সড়ক অবরোধ ষষ্ঠ দিনে পড়েছে। রেল অবরোধ প্রায় ৯৬ ঘন্টা অতিক্রান্ত হয়েছে। অন্য দিকে জাতীয় সড়ক ১০০ ঘন্টারও বেশি অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে। অবরোধের জেরে দূরপাল্লার ট্রেন ও লোকাল ট্রেন বাতিল করে দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে। পাশাপাশি পণ্যবাহী ট্রেনগুলোও চলাচল বন্ধ হয়ে রয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খেমাশুলির রেল স্টেশন এবং সেই সংলগ্ন জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধের জেরে সমস্যায় পড়ছেন মানুষজনেরা। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনায় বসে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছে রেল এবং জেলা প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন কুড়মি আন্দোলনের নেতৃত্ব। যদিও আলোচনা করে কোনও সমাধান মেলেনি। প্রতিদিনই বহু ট্রেন বাতিল করতে হচ্ছে। যার ফলে সমস্যায় পড়ছিলেন যাত্রীরা। পাশাপাশি রেলের তরফে আবেদন জানানো হয়েছিল, রাজ্য সরকার যাতে জিআরপি এবং রাজ্য পুলিশের মাধ্যমে এই অবরোধ তোলার ব্যবস্থা করে।