বাড়ছে কো*ভিড আক্রা*ন্তের সংখ্যা, আসল তথ্য চেয়ে ফের চিনকে অনুরোধ হু-র

0
1

চিন, ইউরোপ, দক্ষিণ কোরিয়ায় ফের বাড়ছে করোনার প্রকোপ। জানা গিয়েছে, হংকঙে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ছুঁয়েছে। র‍্যাপিড টেস্টের মাধ্যমে ১২ হাজারেরও বেশি আক্রান্ত ধরা পড়েছে। এরই মধ্যে বিশ্ববাসীকে করোনা নিয়ে সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস তিন সপ্তাহ আগেই আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন। এ বার তাঁর সংস্থার রিপোর্টেও একই অভিযোগ তোলা হল— করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে আসল তথ্য প্রকাশ করছে না চিন!
করোনা সংক্রমণ থেকে পুরোপুরি মুক্তি পেতে এর উৎপত্তি সংক্রান্ত তথ্য জানা অতি জরুরি। এই নিয়ে চিনের কাছে একাধিকবার তথ্য জানতেও চেয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু। তবে চিনের কাছ থেকে কখনও কোনও সদুত্তর মেলেনি। তাই আর একবার চিনের কাছে করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তথা ‘হু’। বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, তারা নিশ্চিত যে, করোনার উৎপত্তি নিয়ে চিনের কাছে আরও বিস্তারিত তথ্য রয়েছে যা তারা বাকি বিশ্বের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছে না।
ভারত-সহ একাধিক দেশে নতুন করে ক্রমশ বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। চিন থেকে গোটা বিশ্বে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর তিন বছর কেটে গেলেও এখনও এই মারণ ভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি। অথচ, এই রোগের প্রতিরোধক হিসেবে টিকা বা ওষুধপত্র সংক্রান্ত গবেষণাকে চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছতে হলে আদতে কোথা থেকে এবং কী ভাবে এটি ছড়িয়ে পড়েছিল, তা জানা জরুরি। সেটা জানার জন্যই চিনের কাছে  ‘হু’-র এই আবেদন।

হু প্রধান জানিয়েছেন, করোনার উৎপত্তি নিয়ে এখনও অনেক তথ্য় জানা বাকি, যদি চিন বিশ্বকে সেই তথ্য দেয় তবেই আমরা সেটা জানতে পারব। জানতে পারব– ঠিক কী হয়েছিল, কীভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল করোনা সংক্রমণ। আমরা তাই ক্রমাগত চিনের কাছে এ বিষয়ে সহযোগিতার আর্জি জানাচ্ছি।
এদিকে মার্চ মাসের শেষ থেকেই দেখা গিয়েছিল রাজ্যে ‘কোভিড পজিটিভিটি রেট’ ক্রমশ বাড়ছে। ২-এর ঘর সে আগেই পেরিয়েছিল, এবার তিনের দিকে তার অভিমুখ। কিন্তু মাত্র দুসপ্তাহ আগেও এই হার ছিল ১.১ শতাংশ। আর এখন ‘কোভিড পজিটিভিটি রেট’ ২.৯ শতাংশ!
রাজ্যের শেষ পাওয়া কোভিড পরিসংখ্যান বলছে– গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পজিটিভ কেস ২৬, আর পজিটিভিটি রেট ২.৯৪ শতাংশ। করোনা অ্যাক্টিভ কেস– ২০৩টি।  এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৪ জন করোনা আক্রান্ত। মৃত্যু ঘটেনি।