শীতলকুচিকাণ্ডে নয়া মোড়, প্রেমে বাধা পেয়েই হা*মলা!

0
8

পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়িতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে দুষ্কৃতীর হামলা। ঘটনায় পঞ্চায়েত সদস্যা সহ তাঁর স্বামী ও এক মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। অন্য এক মেয়ে বর্তমানে কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।মৃত্যুর সঙ্গে পাল্লা লড়ছে সে। শুক্রবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে মাথাভাঙ্গা মহকুমার শীতলকুচিতে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত বিভূতিভূষণ বর্মন নামে এক যুবককে স্থানীয়রা মারধর করায় তাঁকে কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি দুজনকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মূল অভিযুক্ত বিভূতিভূষণ বর্মনের সঙ্গে নীলিমার ছোট মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল ।কিন্তু সেই সম্পর্ক মানতে চায়নি বাড়ি্র লোক।নিলীমা স্বয়্ং মেনে নিতে পারেননি এই সম্পর্ক। এদিন ভোর ৪টে ৪০ মিনিট নাগাদ বিভূতিভূষণ সহ আরও দুজন নীলিমার বাড়িতে হামলা চালায়। পুলিশেরও প্রাথমিক অনুমান, মূলত প্রেমের সম্পর্কের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে শীতলকুচি ব্লকের হাসপাতাল পাড়া এলাকায় পথ অবরোধ শুরু করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

এই ঘটনায় গুরুতর আহত হন পঞ্চায়েত সদস্যা নীলিমা বর্মন, ও তাঁর স্বামী সহ দুই মেয়ে। আহতদের প্রথমে মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে মৃত্যু হয় নীলিমা ও তার স্বামী বিমলে। আহত দুই মেয়েকে কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে বড় মেয়ে রুনুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। ছোট মেয়ে ইতি বর্মন বর্তমানে আশঙ্কাজানক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। মূলত প্রেমে বাদা পেয়েই এই হামলা বলে জানা গিয়েছে।