রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটে বাগড়া দিতে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) পর্যন্ত ছুটে ছিলেন BJP বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Shubhendu Adhikari)। কিন্তু সেখানেও মুখ পুড়ল। শীর্ষ আদালতে খারিজ হয়ে গেল শুভেন্দু অধিকারীর পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Polls) মামলা। কলকাতা হাই কোর্টের রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট।

রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার পাশাপাশি ভোটার তালিকা এবং জাতিগত সমীক্ষার ভিত্তিতে আসন সংরক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ ছিল, ২০১১ সালে তফসিলি জাতি এবং উপজাতির গণনা করা হলেও ওবিসি-র গণনা হয়নি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই গণনা হয়েছে। সেই প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করেই হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন শুভেন্দু। শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে ৩০ মার্চ রায় দেয় হাই কোর্ট। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ভোট-প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে রাজি নয় আদালত। নির্বাচন কমিশনই এই বিষয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে। হাই কোর্ট হস্তক্ষেপ না করায় শীর্ষ আদালতে গিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু বৃহস্পতিবার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জানিয়ে দেন, “এখন আমরা কীভাবে নির্বাচন আটকাতে পারি!” প্রধান বিচারপতির কথায়, “নির্বাচন স্থগিত করার মতো অত্যন্ত গুরুতর বিষয় এখন করতে পারি না। আমরা হস্তক্ষেপ করব না।“ এদিন শীর্ষ আদালতের রায়ের পর আর পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণায় কোনও বাধা রইল না। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা বলেই মন রাজনৈতিক মহলের।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজ্য বিজেপি জানে পঞ্চায়েত ভোটে গো-হারা হারবে, প্রার্থী দিতে পারবে না। সাংগঠনিক শক্তির পরিচয় দিতে হবে যেটা তাঁরা পারবেন না। সেই কারণে তাঁরা বারবার জটিলতা তৈরি করার চেষ্টা করছেন। সুপ্রিম কোর্টের রায় বিজেপির রাজনৈতিক ব্যর্থতা এবং দেউলিয়াপনা সবার সামনে তুলে ধরল।






































































































































