শেষ দিনেও আদানি ইস্যুতে সরগরম সংসদ কক্ষ। সংসদে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো পাশাপাশি এদিন বিজয় চক পর্যন্ত তেরেঙ্গা মিছিল করতে দেখা গেল কংগ্রেসসহ(Congress) অন্যান্য বিরোধী দলের সাংসদদের। পাশাপাশি, বৃহস্পতিবার লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার(speaker Om Birla) সৌজন্যমূলক চা চক্রের আমন্ত্রণও প্রত্যাখ্যান করার কথা ঘোষণা করেছে কংগ্রেস-সহ ১৩টি বিরোধী দল। সব মিলিয়ে অধিবেশন শেষ হলেও আদানি ও রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi) নিয়ে চলতে থাকা বিতর্ক অব্যাহত রইল রাজধানীতে।
বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের ডাকা মিছিলে এদের যোগ দিতে দেখা যায় ডিএমকে, সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি ও এনসিপির সাংসদদের। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বাম সাংসদরাও। মিছিল শেষে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিরোধীরা। সেখানে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে(Mallikarjun kharge) আদানি ইস্যুতে সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন জানান, “এই সরকার চায় না অধিবেশন চলুক। গোটা অধিবেশনে বার বার বিরোধীদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা হয়ছে। ৫০ লক্ষ টাকার বাজেট প্রস্তাব পাশ হয়েছে মাত্র ১২ মিনিটের আলোচনায়। বিজেপির স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে এ বার রাস্তায় লড়াই হবে।
অন্যদিকে বিরোধীদের হয়ে হট্টগোলের জেরে শেষ দিনের সংসদ অধিবেশন বাতিল হওয়ায় বিরোধীদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। তিনি বলেন, “গোটা দেশ দেখছে কংগ্রেস একজন নেতার জন্য কী করে চলেছে। আমরা সবাই দেখেছি সুরাট আদালতে কীভাবে সদলবলে গিয়ে কংগ্রেস বিচারব্যবস্থার উপরে চাপ সৃষ্টি করেছে। একজন কংগ্রেস নেতার দাবি, গান্ধী পরিবারের জন্য আলাদা আইন দরকার।”
যদিও এর পালটা তোপ দেগে কংগ্রেস সাংসদ কেসি বেণুগোপাল বলেন, ওরা কেন আদানি কেলেঙ্কারি নিয়ে আলোচনা করতে চাইছে না? এ পাশাপাশি খাড়গে বলেন, “রাহুল গান্ধী লোকসভায় জানতে চেয়েছিলেন কী করে আদানির সম্পত্তি গত আড়াই বছরে এভাবে লাফিয়ে বাড়ল। বিষয়টা দেশের সম্পদ নিয়ে কিন্তু ওরা যুগ্ম সংসদীয় কমিটিতে রাজি হল না। এর অর্থ ডাল মে কুচ কালা হে।”