শক্তিগড়ের (Shakrigarh) শুটআউটের ঘটনায় প্রত্যক্ষ যোগাযোগের অভিযোগ। তারপর থেকেই বেপাত্তা বীরভূমের ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ (Abdul Latif)। আর এবার গরু পাচার মামলায় তাঁকে দিল্লিতে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (Enforcement Directorate)। গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal), সায়গল হোসেন (Saigal Hossain) ও এনামুল হক (Enamul Haque) আপাতত তিহার জেলে (Tihar Jail) বন্দী। আর তাঁদের নিয়মিত জেরা করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার সেই মামলায় আবদুল লতিফকে ডেকে পাঠাল ইডি। আগামী সপ্তাহে তাঁকে দিল্লিতে (Delhi) হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নোটিশে (Notice)।
এর আগে গত জুন মাসে রেকর্ড করা হয়েছিল বয়ান। পরে মার্চ মাসে ফের আব্দুল লতিফকে তলব করা হলে অসুস্থতার কারণে হাজিরা এড়ান তিনি। জানিয়েছিলেন, তাঁর নাকি কেমোথেরাপি চলছে। অথচ তার কয়েকদিন কাটতে না কাটতেই শক্তিগড়ের কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝা খুন হওয়ার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ‘অসুস্থ’ লতিফ। পাশাপাশি খুনের সময় যে গাড়িতে ছিলেন রাজু, সেটি লতিফেরই গাড়ি বলে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন গাড়িটির চালক। এমনকি ঘটনার সময় লতিফ গাড়িতে ছিলেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। এরপরই লতিফের ‘অসুস্থতা’র অজুহাতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির সমন এড়ানো নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। তবে এর আগে বহুবার গরু পাচার মামলায় সিবিআই লতিফকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠালেও তিনি কোনও না কোনও কারণ দেখিয়ে এড়িয়ে গিয়েছেন।
তবে সূত্রের খবর, রাজু ঝা (Rahu Jha) খুনের দিন ঘটনাস্থলে লতিফের উপস্থিত থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর সিবিআই লতিফের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে। এমনকি, লতিফকে ফেরার ঘোষণা করা এবং তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার বিষয়ে আইনজীবীদের পরামর্শও নিতে শুরু করেছে বলেও সূত্রের খবর। আগামী সপ্তাহে দিল্লিতে তিনি হাজিরা দেন কি না, সেটাই এখন দেখার।