অবোধের গোবধে আনন্দ: ‘মহা অর্বাচীন’, কটাক্ষ করে শুভেন্দুর টুইটের পাল্টা কুণাল

0
2

হনুমান জয়ন্তীতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট(Kolkata HighCourt)। আদালতের এহেন নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছে শাসকদল তৃণমূল(TMC)। তবে এই ঘটনায় টুইটে রাজ্যপ্রশাসনের ব্যর্থতা তুলে ধরতে মরিয়া বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Shuvendu Adhikari)। বাংলার প্রবাদ তুলে ধরে শুভেন্দুর টুইটের এবার পাল্টা তোপ দাগলেন তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)। জানালেন, “অবোধের গোবধে আনন্দ”। পাশাপাশি শুভেন্দুকে মহা অর্বাচীন কটাক্ষ করে কুণাল জানালেন, শুভেন্দুকে চ্যালেঞ্জ করছি ক্ষমতা থাকলে এবার মুঙ্গের বাহিনীকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনে ফেলুক হাতে রিভলবার দিয়ে। আদালতের নির্দেশ শুভেন্দুর গালে সপাটে থাপ্পড় বলেও মন্তব্য করেন কুণাল।

বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দুর টুইটের প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “বিজেপি শাসিত কত রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামাতে হয়েছে সেটা কি শুভেন্দু জানে না? আসলে বলটা এখন বিজেপির কোর্টে। এই বাহিনী থাকলে শুভেন্দুরা আর রুট ভাঙতে পারবে না, মিছিলের সময়সীমা বদলাতে পারবে না। আসলে ‘অবোধের গোবধে আনন্দ’ শুভেন্দুর টুইট এটাই। মহা অর্বাচিন না হলে এই ধরণের টুইট করে না। ক্ষমতা থাকলে এবার মুঙ্গের বাহিনীকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনে ফেলুক হাতে রিভলবার দিয়ে। চ্যালেঞ্জ করছি বড় বড় কথা না বলে এবার মুঙ্গের বাহিনী নিয়ে ঘুরুক কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনে।” পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ আরও বলেন, “সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই জায়াগায় যদি বিজেপির কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকে সেক্ষেত্রে বিজেপির অসভ্যতা করতে গেলে ১০ বার ভাবতে হবে। বাহিনীর সামনে তাদের ভালো ছেলে সাজতে হবে। অন্য সময় এসব ক্ষেত্রে রাজ্যপুলিশকে সতর্কভাবে চলতে হয়। কড়া পদক্ষেপ নিলে বিজেপি রাজনৈতিক ইস্যু করবে। কেন্দ্রীয় বাহিনীতে সেই দায় রাজ্য পুলিশের অনেক কমে যাচ্ছে। ফলে তৃণমূলের আপত্তির প্রশ্ন নেই।” শুধু তাই নয় বর্তমান রাজ্যপালকে তাঁর উত্তরসূরী জগদীপ ধনকড়ের পথ ধরে চলার পরামর্শ প্রেক্ষিতে কুণাল বলেন, “বিজেপির অর্ধেক নেতা শুভেন্দুকে মানে না। ও আছে ব্যক্তিগত হিংসামূলক বক্তব্য ও টুইটে। এর বাইরে শুভেন্দুর অস্তিত্ব নেই। এবং শুভেন্দুর অভ্যাস রাজভবন ভিত্তিক রাজনীতি করা। সেটা হচ্ছে না তাই ওর এত কষ্ট। আসলে নারদ মামলায় টাকা নিতে দেখা গিয়েছে শুভেন্দুকে। নিচের দোষ স্বীকার করেছে শুভেন্দু। এখন গ্রেফতারি থেকে বাঁচতে এইসব করে বেড়াচ্ছে। শুভেন্দু চাইছেন এলোমেলো করে দে মা লুটেপুটে খাই।”

উল্লেখ্য, আধা সামরিক বাহিনী দিয়ে হনুমান জয়ন্তীর মিছিলে নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে আদালত জানিয়েছে, কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নেতা-মন্ত্রী বা সাধারণ মানুষ জনসমক্ষে কোনওরকম উস্কানিমূলক মন্তব্য করতে পারবেন না। যারা হনুমান জয়ন্তীর মিছিল পালন করবেন, তাঁদের মুচলেকা দিয়ে বলতে হবে কোনও অশান্তি হলে সেই সংগঠন বা মিছিল আয়োজকরা দায়ী থাকবেন বলেও জানিয়েছে আদালত। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ইস্যুতে রাজ্যের প্রশাসনকে ‘ব্যর্থ’ প্রমাণ করার চেষ্টায় মরিয়া শুভেন্দু। এদিন তার পাল্টা দিলেন কুণাল।