রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে রাজভবন (Rajbhaban)। রাজ্য সরকারি আধিকারিকদের থেকেই তথ্য নেওয়া হচ্ছে। পুলিশকে (Police) বস্তুনিষ্ঠ হওয়ার পরামর্শ দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। রবিবার, একটি বেসরকারি নিউজ চ্যানেলে দেওয়া টেলিফোন সাক্ষাৎকারে রাজ্যপাল জানান, পুলিশকে নির্ভয়ে, নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত করতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা, মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে।
আনন্দ বোসের কথায়, মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। “পুলিশকে নির্ভয়ে, নিরপেক্ষ ভাবে কর্তব্য করতে হবে। বস্তুনিষ্ঠ হতে হবে। দায়বদ্ধ হতে হবে। দ্রুততার সঙ্গে পদক্ষেপ করতে হবে।“ সাক্ষাৎকারে বার বার পুলিশকে রাজ্যপালের পরামর্শ, “মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। কোনও ভাবেই তার অন্যথা করা যাবে না।“ এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাও (Mamata Banerjee) অশান্তি রুখতে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশকে।
G-20 বৈঠক উপলক্ষে কর্মসূচিতে যোগ দিতে শনিবার শিলিগুড়িতে গিয়েছেন রাজ্যপাল। তবে, সেখান থেকেও তিনি যে হাওড়ার পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন সেটা তাঁর মন্তব্যে স্পষ্ট। হাওড়ার অশান্তিতে বিশেষ সেল গঠন করেছে রাজভবন। এই বিষয়ে রাজ্যপাল বলেন, ওই এলাকায় কী হচ্ছে সে বিষয়ে নজর রাখতে চান তাঁরা। সে বিষয়ে সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে রাজভবন। এই বিষয়গুলিতে নজর রাখা হচ্ছে যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করা যায়।
তাহলে কী সরকারের উপর আস্থা নেই সিভি আনন্দ বোসের? এর জবাবে রাজ্যপাল জানান, যে কোনও সরকারের নজরদারির প্রক্রিয়া থাকে। রাজ্য প্রাশসনের শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে ছিলেন। তাঁদের থেকে পাওয়া তথ্য সাহায্য করবে বলেই আশা তাঁর। রাজভবনও বিষয়টি বিশ্লেষণ করতে চায়। সেই কারণেই নতুন সেল গঠন।
অশান্তি নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকারে ভূমিকায় কি তিনি খুশি? এর উত্তরে রাজ্যপাল জানান, ‘‘এটা কাজ করার সময়, মূল্যায়নের নয়।’’ তাঁর কথায়, এ ধরনের অশান্তি রুখতে দীর্ঘমেয়াদি এবং স্বল্পমেয়াদি পদক্ষেপ করতে হবে। শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষা করতে হবে। হাওড়ার অশান্তির নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেও, উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় ঘটনা নিয়ে কোনও কথা বলতে চাননি রাজ্যপাল। শুধু বলেন, তিনি পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন।
বাংলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট কি না প্রশ্ন করলে আনন্দ বোসের উত্তর, “এটা ব্যক্তিগত বিষয় নয়। মানুষ কী ভাবছে সেটাই আসল। মানুষ সন্তুষ্ট হলে আমরা নিশ্চিন্ত হয়ে বসে থাকতে পারি।“