এবার রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে অভিযোগ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। হাওড়ার শিবপুর নিয়ে রবিবার কার্যত তার হুঁশিয়ারি, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সচেতন না হলে কঠোর পদক্ষেপ হবে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আভাস থাকলে যথেষ্ট পুলিশ কেন ছিল না। অনুরাগ ঠাকুরের এই মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার স্পষ্ট বলেছেন, ‘অনুরাগের দলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ি নরেন্দ্র মোদিকে গুজরাট প্রসঙ্গে বলেছিলেন রাজধর্ম পালন করতে। উনি এখন সে কথা ভুলে গিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়, ওঁকে দিল্লিতে বসে দাদাগিরি কে করতে বলেছেন? এসব হুমকির কথা। নির্বাচিত সরকারের মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে হুমকি দিচ্ছেন। বিজেপির কী অবস্থা। লজ্জা লাগছে। বিজেপি মিছিল করলেই এই সমস্যা হচ্ছিল, সেটাই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন। পুলিশ যথেষ্টই ছিল। তার চেয়েও বেশি ছিল অস্ত্র।
প্রসঙ্গত, রামনবমীর মিছিল ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল হাওড়ার শিবপুর থানা এলাকায় ভাঙচুর, ইটবৃষ্টি হয়, গাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনাও ঘটে। হাওড়া সিটি পুলিশের পাশাপাশি পরিস্থিতি সামাল দিতে কলকাতা এবং ব্যারাকপুর কমিশনারেট থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল পুলিশ। ইটবৃষ্টির পাশাপাশি বোতলও ছোড়া হয়।এরপর শুরু হয় বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। র্যাফ নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
এদিকে পুলিশের নিষেধ উপেক্ষা করেই রবিবার হাওড়ায় যান বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়কে ১৪৪ ধারা জারি হওয়া জায়গায় যেতে দেওয়া হলে তাঁকে কেন বাধা, প্রশ্ন তুলে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। আজও শিবপুরের বেশ কিছু জায়গায় জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা।




































































































































