হাওড়ার শিবপুরে অশান্তির ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল (C.V Anand Bose)। হাওড়াকাণ্ডে এবার কড়া বিবৃতি দিয়ে রাজ্যপাল বলেন, “শিবপুরে অশান্তির ঘটনায় রাজভবন কড়া নজর রেখেছে। হনুমান ধর্ম রক্ষা করতে লঙ্কায় আগুন লাগিয়েছিলেন। এখানে অধর্মের জন্য যাঁরা আগুন লাগিয়েছেন, তাঁরা নিজেদের বিপদ ডেকে এনেছেন।” প্রসঙ্গত ইতিমধ্যে হাওড়ার অশান্তির ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোস। গোটা ঘটনার পর্যবেক্ষণে ‘স্পেশাল সেল’ তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজভবনের প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সাধারণ মানুষের জীবন, সম্পদ, সম্মান রক্ষার জন্য রাজভবন চোখ কান খোলা রাখছে। এই ঘটনায় একটি স্পেশাল সেল তৈরি করারও নির্দেশ দিয়েছেন এবং সেখান প্রতি মুহূর্তের খবর রাজ্যপালকে জানাতে হবে। পাশাপাশি হাওড়ার ঘটনা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছেও রিপোর্ট চেয়েছেন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শুক্রবার তিনি ‘একান্ত’ আলোচনা করেন বলেও জানিয়েছেন রাজ্যপাল আনন্দ।

যদিও রাজভবনের পৃথক মনিটরিং সেল খোলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের প্রশ্ন, হাওড়া-কাণ্ড নিয়ে রাজভবনে এভাবে পৃথক মনিটরিং সেল খোলা যায় কি? এই সেল নিয়েই এখন শুরু হয়েছে বিতর্ক। হাওড়ার অশান্তি নিয়ে রাজবভনের বিবৃতির পরই তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র প্রশ্ন তোলেন, রাজভবনে কি আলাদা করে এভাবে বিশেষ মনিটরিং সেল খোলা যায়? বিবৃতি দেখে মনে হচ্ছে তিনি নিজে আলাদা করে সবকিছু মনিটর করছেন। কিন্তু এটা কি তিনি করতে পারেন? আইনশৃঙ্খলা যেখানে পুরোটাই রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত বিষয়। তা নিয়ে রাজভবন কী করে মনিটরিং সেল খুলতে পারে?
আরও পড়ুন- নি*ষিদ্ধ শব্দ*বাজি তৈরি রুখতে কঠোর হচ্ছে রাজ্য, নোডাল অফিসার হবেন জেলাশাসকরা, জানালেন মানস ভুঁইয়া



































































































































