শুভেন্দুর সঙ্গে হাত মিলিয়েছে সিপিএম, “অবৈধ সম্পর্ক” আড়াল করল গণশক্তি

0
2

গতকাল, বৃহস্পতিবার ধর্মতলায় শহীদ মিনার ময়দানে বাম জমানায় সরকারী চিরকুটে চাকরি পাওয়া একাংশের যে
ডিএ আন্দোলন চলছে, সেখানে সুড়সুড়ি দিতে গিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তীর, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যর মতো সিপিএমের প্রথমসারির নেতারা। ডিএ আন্দোলন বলে চালানোর চেষ্টা করলেও আসলে এটা যে সরকার বিরোধী একটি রামধনু রাজনৈতিক মঞ্চ সেটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয় গিয়েছে। বিরোধী সব রাজনৈতিক দলের নেতারাই ডিএ মঞ্চে যাচ্ছেন রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে। গতকাল, বৃহস্পতিবার সেই মঞ্চে গিয়েছিলেন সিপিএম নেতারা। গিয়েছেছিলেন “সাইন বোর্ড” কংগ্রেসের চারআনার নেতা কৌস্তভ বাগচীও। খুব স্বাভাবিকভাবে সিপিএমের দলীয় মুখপত্র “গণশক্তি”’ প্রথম পাতায় তা লিড নিউজ হয়েছে। প্রতিবেদনের শিরোনাম “গণছুটি নিয়ে বিশাল জমায়েতে জবাব দিলেন সরকারি কর্মীরা”।

কিন্তু প্রশ্ন অন্য জায়গায়। ফন্দি-ফিকির করে ওই একইদিনে ডিএ মঞ্চে গিয়েছিলেন দলবদলু বিজেপি নেতা তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অর্থাৎ, ডিএ আন্দোলনের নামে নীতি-আদর্শ বিসর্জন দিয়ে সাগরদিঘি ও নন্দকুমার মডেল রাম-বাম-শ্যামের অশুভ আঁতাত! তবে রাজনৈতিকভাবে অবৈধ সম্পর্ককে আড়াল করার প্রয়াস দেখা গেল সিপিএমের দলীয় মুখপত্রে।

কী সেই অবৈধ সম্পর্ক? বাম; কংগ্রেস ঘোষিত জোট এ রাজ্যে পরীক্ষিত এবং ব্যর্থ। বহু বিতর্ক থাকলেও দুই দল সেটাকে ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু নীতি-আদর্শগত ভাবে একেবারে বিপরীত মেরুতে থাকা বিজেপির সঙ্গে বাংলার বুকে তলে তলে যে অবৈধ ও গভীর সম্পর্ক তৈরি করেছে বাম-কংগ্রেস, সেটা ক্রমশ প্রকাশ্যে চলে এসেছে। আর তাতেই প্রবল অস্বতিতে পড়েছে বামেরা।

সেই অবৈধ সম্পর্ক ঢাকতে কৌশল নিয়েছে গণশক্তি। তাই ডিএ মঞ্চে সেলিম-সুজনরা বিজেপির শুভেন্দু ও কংগ্রেসের কৌস্তভের সঙ্গে সহাবস্থান করলেও, দলীয় মুখপত্রে কংগ্রেসের চুনোপুঁটির নাম উল্লেখ থাকলেও, নেই দলবদলু বিজেপি নেতার নাম। অর্থাৎ, কোনও অফিসিয়াল ডকুমেন্ট রাখতে যে চাইছে না সিপিএম তা গণশক্তির প্রতিবেদনেই স্পষ্ট। পাচ্ছে, বাম-রাম অশুভ আঁতাত নিয়ে প্রশ্ন ওঠে! তবে বাংলার বুকে সিপিএম-বিজেপির অবৈধ সম্পর্ক অটুট রাখতে কোনও কার্পণ্য করছেন না সেলিম-সুজনরা!