মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) একাধিকবার বললেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। উল্টে প্রতিদিনই নিত্যনতুন অছিলায় বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (DA) নিয়ে শহরের রাজপথে নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার সকালে হাওড়া এবং শিয়ালদহ থেকে মোট দু’টি মিছিল শহিদ মিনারের উদ্দেশে এগোতে থাকে। তবে বেলা যত গড়ুয়েছে ততই প্রকাশ্যে এসেছে মিছিলের আসল চিত্র। বুধবারও নিজেদের নীতি, আদর্শ ভুলে পায়ে পা মেলাতে দেখা গিয়েছে বাম-কংগ্রেস সমর্থকদের। আর মিছিল ঘিরে চরম অব্যবস্থা এবং রাজনৈতিক দেউলিয়াপণার নিকৃষ্ট চেহারা সামনে আসে রাজ্যবাসির। দুজনে একই রাস্তার পথিক হলেও দিনের শেষে দেখা যায় দুজনের মিছিলের মূল কেন্দ্র অনেকটাই আলাদা। কিন্তু একা আর কতটা করা সম্ভব? তাই অন্য দলের পা ধরে শহরের জনজীবনকে স্তব্ধ করার চেষ্টা।

তবে বৃহস্পতিবার দেখা গেল এক অন্য ছবি। যেখানে মুখে না বললেও ডিএ-র মিথ্যা অছিলায় একই মঞ্চে রাম-বাম-কংগ্রেস অশুভ আঁতাত। আর এরপরই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। মুখে যতই নিন্দা করুক না কেন, আসলে তিন দলই বুঝেছে নিজেদের দলের বর্তমান হাল। আর সেকারণেই হাত ধরাধরি করে যেভাবেই হোক রাজ্যে অশান্তির চেষ্টা করে কীভাবে খবরে ভেসে থাকা যায় তার চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। আন্দোলনকারী যৌথ মঞ্চের কর্মচারীদের অবস্থানমঞ্চে এসে উপস্থিত হন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) এবং মহম্মদ সেলিম (Md Selim)। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Shuvendu adhikari) ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তুভ বাগচীও উপস্থিত ছিলেন ওই মঞ্চে।

পূর্ব ঘোষণা মতোই রেড রোডে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হয়ে লাগাতার ২ দিনের ধর্না মঞ্চে বসেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার থেকে ধর্না শুরু হলেও নীতি, মতাদর্শ জলাঞ্জলি দিয়ে একের পর এক মিছিল, সভার আয়োজন করে রাম, বাম, কংগ্রেস। বুধবারই একদিকে যেমন ধর্না মঞ্চে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ঠিক তেমনই শহীদ মিনারে সভা করেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর যেভাবেই হোক না কেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পথে নামা তৃণমূল কংগ্রেসকে যে কোনওভাবেই হোক বাধা দিতে হবে। আর সেই লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বুধবার ময়দানে নামে বিজেপি। হাওড়া থেকে শ্যামবাজার একাধিক জায়গাতেই অশান্তি, বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। উল্টে মুখ পুড়েছে রাম-বাম-কংগ্রেসের। আর সেকারণে বুধবারের পর বৃহস্পতিবার মমতার অনশনের দ্বিতীয় দিনেও ডিএ-র যৌথ সংগ্রামী মঞ্চকে সামনে রেখে ফের শহরকে অশান্ত করার চেষ্টায় মেতেছিল রাম-বাম-কংগ্রেস। কিন্তু তাতেও লাভের লাভ কিছুই হল না। কিন্তু একটা বিষয় রাজ্যবাসির সামনে দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে গেল, মুখে যাই বলুক না কেন গোপনে বিজেপির সঙ্গে বাম ও কংগ্রেসের গোপন আঁতাত ফের একবার স্পষ্ট হয়ে গেল। এদিন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো ধর্না মঞ্চ থেকেই যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের সদস্যদের দাবিদাওয়া নিয়ে চরম অসন্তোষের পাশাপাশি বাম আমলে একাধিক দুর্নীতির বিষয়ের প্রমাণ তুলে ধরেন।
তবে এদিন আন্দোলন প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ মন্তব্য করেন, সাধারণ সরকারি কর্মী যারা তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আস্থা রাখছেন। তবে এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও কড়া আক্রমণ করেন কুণাল। পাশাপাশি কেন্দ্রকে রাজ্যের সমস্ত বকেয়া মেটানোর দাবি জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক।





































































































































