রাজস্থানে স্বাস্থ্যের অধিকার বিলের বিরোধিতায় সরব হাজার হাজার চিকিৎসক! হেলদোল নেই প্রশাসনের

0
1

‘রাইট টু হেলথ’ বা স্বাস্থের অধিকার বিলের বিলের বিরোধিতায় সরব চিকিৎসকরা। যার ফলে একদিনের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন রাজস্থানের ১৫ হাজারেরও বেশি চিকিৎসক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মী।স্বভাবতই এই আন্দোলনের জেরে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।আন্দোলনের জেরে সরকারি হাসপাতাল থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে পরিষেবা ঠিকমতো মিলছে না।এমনকি ডাক্তার না থাকায় জরুরিকালীন পরিষেবাও বিঘ্নিত হচ্ছে।তবে, চিকিৎসক সংগঠনের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে,হাসপাতালের জরুরি বিভাগগুলিকে এই ধর্মঘটের আওতায় রাখা হবে না।এমনকি, ওপিডি ও প্রসূতি বিভাগও সচল রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন:দিল্লিতেও আম্বেদকর মূর্তির সামনে কালো ব্যাজ পরে ধর্না তৃণমূলের
অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শঙ্কর বামনিয়া বলেছেন, “আন্দোলনের সমর্থনে সমস্ত ডাক্তার একদিনের গণ ছুটিতে থাকবেন তবে জরুরী পরিস্থিতিতে চিকিৎসা প্রভাবিত হবে না।”সেসঙ্গে তিনি আরও জানান, যে বা যাঁরা এই গণছুটিতে অংশ নেবেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যবস্থা নিতে হতে পারে। এমনকি অনুমতি ছাড়া স্বেচ্ছায় ছুটি নেওয়া হলে দায়িত্বে অবহেলার জন্য চিকিৎসকদের রেজিস্ট্রেশন পর্যন্ত বাতিল করা হতে পারে।পাশপাশি,বিক্ষোভে সামিল হওয়া চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ জারি করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ।যদিও বিক্ষোভকারীদের দাবি, প্রতিবাদের জন্য জরুরি পরিষেবার কাজে কোনও ব্যাঘাত ঘটেনি।

প্রসঙ্গত বিরোধীদের প্রবল আপত্তি এবং যাবতীয় প্রতিবাদকে উপেক্ষা করে রাজস্থান বিধানসভায় গত মঙ্গলবার দেশের মধ্যে প্রথম স্বাস্থ্যের অধিকার বিলটি পাশ হয় রাজস্থানে। তারপরই শুরু হয়েছে চিকিৎসকদের আন্দোলন। আসলে কী স্বাস্থ্যের অধিকার? বিল অনুযায়ী,এবার থেকে রাজ্যের কোনও সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতাল রোগীর চিকিৎসা প্রত্যাখ্যান করতে পারবে না। জরুরি প্রয়োজনে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও বিনামূল্যে চিকিৎসা দিতে হবে।রাজ্যের কোনও সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতাল কোনও রোগীর চিকিৎসা প্রত্যাখ্যান করতে পারবে না। তবে বিলটি পাশ হতেই শুরু হয়েছে চিকিৎসকদের বিক্ষোভ। স্বাস্থ্যের অধিকার বিল প্রত্যাহারের দাবিতে হাজার হাজার চিকিৎসক, চিকিৎসক কর্মী থেকে শুরু করে চিকিতসক কমিটির সদস্যরা বিক্ষভ মিছিলে সামিল হয়েছেন।


বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য,”এই বিলে যেভাবে আমাদের হাত-পা বেঁধে দেওয়া হয়েছে, তাতে হাসপাতাল, কর্মচারী এবং বিদ্যুতের খরচ আমরা কী করে বহন করব? এই বিল মেনে নেওয়া কার্যত অসম্ভব”।
তবে এই বিল নিয়ে চিকিৎসকদের আপত্তি সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীদের গুরুত্ব দিতে নারাজ রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি এই আন্দোলনকে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক বলে অভিহিত করেছেন। সেইসঙ্গে বিলটি প্রত্যাহার হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।