আদানি বিতর্কের মাঝেই প্রভিডেন্ট ফান্ডের বৈঠক! বাড়বে কী সুদের হার?

0
2

আদানি বিতর্কে যখন উত্তাল বিরোধীরা ঠিক সেইসময় দিল্লিতে শুরু হয়েছে দু’দিনের এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডের ট্রাস্টি বোর্ড বা অছি পরিষদের বৈঠক। মঙ্গলবার ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের সুদের হার ঘোষণা করা হবে। অছি পরিষদ নতুন সুদের হার কত নির্ধারণ করা হবে, সেদিকে তাকিয়ে দেশের প্রায় চার কোটি শ্রমিক-কর্মচারী।তবে পিএফের সুদের হারের বিষয়টি আদানিকাণ্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত হওয়ায় এ নিয়ে স্বস্তিতে নেই তারা।

আরও পড়ুন:ফের চিরকুট বিতর্কে সুজন, এবার সুভাষ চক্রবর্তীর কাছে চাকরি চাওয়ার চিঠি ফাঁস

গত বছরের গোড়ায় পিএফের হার আচমকাই ৮.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৮.১ শতাংশ করে দিয়েছিল অছি পরিষদ। সেই ঘোষণায় তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয় শ্রমিক-কর্মচারী মহলে। ১৯৭৭ সালের পর কখনও প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুদের হার এত কম হয়নি।

এ বছর সুদের হার বাড়বে, নাকি আরও কমে যাবে সেই সংবাদের অপেক্ষায় দেশের বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীরা। তবে ন্যুনতম পেনশনের পরিমাণ এক হাজার টাকার থেকে বৃদ্ধি করা হবে বলে আশাবাদী তাঁরা।যদিও অছি পরিষদের বৈঠকে সোমবার এইসব বিষয়ে কোনও আলোচনা না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট মহলে উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে।
পিএফ খাতে শ্রমিক-কর্মচারীদের বিপুল টাকা আদানিদের কোম্পানিতে খাটছে। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টের জেরে মুখ থুবড়ে পড়্ছে আদানির সংস্থা। প্রভিডেন্ড ফান্ডের সুদের হারের অঙ্ক নিয়েও উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে। সোমবার রাহুল গান্ধী আদানি বিতর্ক টেনে বিষয়টিকে আরও উসকে দিয়েছেন।তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, আদানিদের শেয়ার কেলেঙ্কারি জানাজানি হওয়ার পরও কেন প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা ওই সংস্থা থেকে সরানো হয়নি।

প্রসঙ্গত, এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড চালু হয়েছিল ১৯৯৫ সালে। গোড়ায় এই তহবিল পুরোপরি শ্রম মন্ত্রকের হাতে থাকলেও পরে তা স্বাধীন অছি পরিষদের হাতে হস্তান্তর করা হয়।