ভারতের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বি*গ্ন অমর্ত্য সেন

0
2

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে নয়াদিল্লির সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। তিনি ভারতের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। শনিবার শান্তিনিকেতনে প্রতীচী ট্রাস্টের বার্ষিক আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে এই কথা তিনি বলেছেন।

অমর্ত্য সেন বলেছেন, ‘দিল্লিতে যা ঘটেছে, একজন ভারতীয় হিসেবে আমি উদ্বিগ্ন। আর এ নিয়ে ভারতের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তার কারণ আছে।’নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘দেশের রাজধানী কেন্দ্রীয় সরকার–নিয়ন্ত্রিত। সেখানে যদি সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার হয়, আর সেই অত্যাচার যদি পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে বা প্রয়োজনীয় চেষ্টা না করে, তাহলে সত্যিই চিন্তার কারণ আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটা তো ঠিক, যাঁরা মার খাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে সংখ্যালঘু  বেশি। ভারত  ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। সেখানে হিন্দু-মুসলমান পার্থক্য করলে চলবে না। তাই এটা যদি ঘটতেই থাকে, তাহলে একজন গর্বিত ভারতীয় নাগরিক হিসেবে চিন্তার বড় কারণ আছে।’

কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়ে অমর্ত্য সেন বলেন, ‘দিল্লিতে গন্ডগোল হচ্ছে, কিন্তু কী কারণে হচ্ছে, দোষটা কোথায় হচ্ছে, এই ঘটনায় সরকারি চেষ্টার অভাব রয়েছে কি না বা পুলিশের অক্ষমতা রয়েছে কি না, তা আমাদের বিচার করতে হবে। এখন এই পরিস্থিতিতে দিল্লিকে শান্ত করা খুবই জরুরি।’দিল্লির সরকারের ভূমিকা প্রসঙ্গে অমর্ত্য সেন বলেন, ‘সরকারি চেষ্টার অভাবের জন্য অথবা পুলিশের অক্ষমতার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। সেগুলো আমাদের বিচার করতে হবে। আমি নানা বিষয়ে বিচার না করেই কথা বলার পক্ষে নই।’

ভারতবর্ষে গণতন্ত্র এখন কোন পর্যায়ে? এই প্রশ্নের জবাবে অমর্ত্য সেন বলেন, ‘গণতন্ত্র নিয়ে আলোচনা যদি বন্ধ হয়, কেউ যদি মতবিরোধ প্রকাশ করেন, তার কণ্ঠরোধ করা হয়, তাহলে বুঝতে হবে নিশ্চয়ই গণতন্ত্রের একটা ঘাটতি পড়ছে। গতন্ত্রের অন্য দিকটা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে নানা দলের আর্থিক ব্যবধান গণতন্ত্রের পক্ষে কতটা ক্ষতিকর, সেটা নিয়েও চিন্তা করার কারণ আছে।’