উচ্চশিক্ষায় জাতীয় শিক্ষানীতি প্রয়োগ হবে কি? এই প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) আগেই জানিয়েছিলেন, এই বিষয়ে কমিটি গঠন করা হবে। সেই মতো জাতীয় শিক্ষানীতির (National Education Policy) প্রয়োগ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিতে কমিটি গঠন করল রাজ্যের শিক্ষা দফতর। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের (Suranjan Das) নেতৃত্বে ৬ সদস্যের কমিটির গঠন করা হয়েছে।

কমিটিতে রয়েছেন-
• যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস
• বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়
• উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্র
• রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নির্মাল্য নারায়ণ চক্রবর্তী
• রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান কৌশিকী দাশগুপ্ত
• কাউন্সিলের যুগ্ম সম্পাদক (শিক্ষা) মৌমিতা ভট্টাচার্য

৪ সপ্তাহ পর বিশেষজ্ঞ কমিটি তাদের মতামত জানিয়ে উচ্চ শিক্ষা দফতরকে রিপোর্ট দেবে। তার ভিত্তিতেই জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে রাজ্য। স্নাতক পাঠক্রম এ রাজ্যে কি তিন বছরের পরিবর্তে জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে চার বছরেরই হবে? এই প্রশ্নের উত্তরেই শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই কি চালু হবে নতুন নিয়ম? এই সমস্ত প্রশ্ন এবং বিভ্রান্তি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। শনিবার শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘চার বছরের স্নাতক কোর্সের বিষয়ে উপাচার্যদের নিয়ে কমিটি গঠন করব। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এই নিয়ম কী ভাবে কার্যকর করা হতে পারে, তা নিয়ে রিপোর্ট দেবে কমিটি। তার পর এই বিষয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।’’
চার বছরের স্নাতক পাঠক্রম চালু করার ক্ষেত্রে আরও একটি সমস্যার রয়েছে। নতুন এই নিয়ম চালু করতে গেলে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোরও দরকার। রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই পরিকাঠামো রয়েছে কি না, সেই প্রশ্নও তোলেন শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, এই সব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে চায় রাজ্য। বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ে জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকর করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে রাজ্য এক ধাপ এগোল বলে মত শিক্ষামহলের।










































































































































