লন্ডনের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে (Cambridge University) ‘ভারতীয় গণতন্ত্র’ (Indian Democracy) নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। আর কংগ্রেস নেতার এমন মন্তব্যের পর থেকেই তাঁর উপর লাগাতার আক্রমণ শানাচ্ছেন বিজেপির উচ্চপদস্থ নেতা কর্মীরা। আর সেই পথে হেঁটেছিলেন বিজেপির কাশু ইউনিটের (Kashu Unit) লিগ্যাল সেলের আহ্বায়ক (Legal Cell Convenor) শশাঙ্ক শেখর ত্রিপাঠী (Shashank Shekhar Tripathi)। আর বুধবার রাহুলের বিরুদ্ধে সেই দায়ের করা মামলা খারিজ করে দিল বারাণসীর একটি আদালত (Varanasi Court)। বিজেপির শশাঙ্কের অভিযোগ, রাহুলের মন্তব্য ভারতের ঐক্যের জন্য চরম ক্ষতিকর। আর সেকারণেই তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন এবং আদালতে সোনিয়া তনয়ের বিরুদ্ধে মামলা (FIR) দায়ের করেন কিন্তু আদালত সেই মামলা খারিজ করে দিল।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ বিজেপির কাশু ইউনিটের আইনি সেলের আহ্বায়ক শশাঙ্ক শেখর ত্রিপাঠি রাহুলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। তিনি সাফ জানান, কেমব্রিজে রাহুল গান্ধীর ভারত বিরোধী বক্তৃতার জন্য অবিলম্বে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তাঁর অভিযোগ, রাহুল তাঁর বক্তৃতার সময় বলেছিলেন ভারতে মুসলিম এবং শিখদের মতো সংখ্যালঘুদের সঙ্গে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকের মতো আচরণ করা হয়। এরপরই রাহুল বলেন, ভারতে গণতন্ত্র শেষ হয়ে গেছে… পাল্টা শশাঙ্ক শেখর ত্রিপাঠী জানান, আমি জানিয়েছিলাম রাহুলের কুমন্তব্যের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত।
তবে বুধবার বারাণসীর বিশেষ আদালত বিজেপির লিগ্যাল সেলের আহ্বায়কের আবেদন খারিজ করে দেয়। আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, রাহুল গান্ধীর মন্তব্য কোনওভাবেই স্বাধীনতার সীমা অতিক্রম করেনি। সম্প্রতিই লন্ডনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী, সেখানেই তিনি ভারতের গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। রাহুলের এই মন্তব্য ঘিরেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, এই মন্তব্য করে দেশের সংসদ, গণতন্ত্র ও প্রতিষ্ঠানকেই অপমান করেছেন কংগ্রেস নেতা। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও নাম না করেই রাহুল গান্ধীর সমালোচনা করেন এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে। এবার রাহুলের সংসদে সদস্যপদ খারিজ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি।