কলকাতা হাই কোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে সশরীরে হাজিরা দিলেন স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার।তিনি জানান, আদালতের নির্দেশ বুঝতে তাঁদের ‘ভুল’ হয়েছিল।এই ‘ভুল’-এর জন্য হাই কোর্টে ক্ষমাও চেয়ে নেন তিনি।
সিদ্ধার্থ মজুমদারের বক্তব্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সপার্টদের দিয়ে খতিয়ে দেখা হয়েছে ওইসব খাতা। ইংরেজি ও চাইল্ড ডেভলপমেন্ট ও পেডাগগি বিভাগের খাতা খতিয়ে দেখে তাঁরা রিপোর্ট দিয়েছেন। যাদবপুরের রিপোর্ট কাল রাতে পাওয়া গিয়েছে। তার সবটা খতিয়ে দেখা হয়নি।
গত ১৭ মার্চ হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এসএসসির চেয়ারম্যানকে আদালতে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। মামলাটি পুরনো বলে গোটা পদ্ধতিতে কোনও ভুল রয়েছে কি না, তা এসএসসিকে খতিয়ে দেখতে বলেছিল আদালত। এসএসসি চেয়ারম্যানের বক্তব্যের ভিত্তিতে, সবটা খতিয়ে দেখার জন্য শুক্রবার পর্যন্ত মামলা স্থগিত করা হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে এসএসসি খতিয়ে দেখবে এক্সপার্টদের রিপোর্ট।
২০১১ সালে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় পাঠ্যসূচির (সিলেবাস) বাইরে থেকে প্রশ্ন এসেছে অভিযোগ তুলে ৮৩ জন মামলা করেন। গত বছর জুন মাসে মামলাকারীদের নম্বর দিতে নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। কিন্তু সেই নির্দেশ মানা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। গত শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে ক্ষুব্ধ বিচারপতি মান্থা বলেন, “এসএসসি কি কোর্টের সঙ্গে লুকোচুরি খেলছে? নিজেরা নিয়োগ করছে, আর নিজেরাই ভুল করছে। এমনকি আদালত নির্দেশ দেওয়ার পরও তা কার্যকর করা হচ্ছে না। এটা কি পরিকল্পিত? এরপরই শুক্রবার এসএসসির চেয়ারম্যানকে আদালতে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা।
তিনি তাঁর পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিলেন, এসএসসির প্রতিটি পদক্ষেপ সন্দেহজনক। তার পরই এসএসসির উদ্দেশে বলেছিলেন, প্রয়োজনে সব নিয়োগ খারিজ করে দেব। আপনাদের সব নিয়োগে সন্দেহ রয়েছে।




































































































































