কথায় আছে, রাখে হরি মারে কে! ঠিক যেন তেমনটাই ঘটলো মৎস্যজীবীদের (Fishermen) ভাগ্যের সঙ্গে। পেটের দায়ে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন, ভাবতেও পারেননি ফিরে এসেই পেয়ে যাবেন বিয়ের প্রস্তাব (Wedding Proposal)। অবশ্য বিষয়টা এখানেই থেমে নেই, কেউ কেউ আবার বলছেন এবার স্বপ্নপূরণের পথে আর কোনও বাধা রইল না। কিন্তু ব্যাপারটা কী বলুন দেখি? আসলেই এই সব কিছুর উত্তর হল অ্যাম্বারগ্রিজ (Ambergris)। চলতি কথায় তিমির বমি (Whale Vomit)। যতই নাক সিটকোন , এর মধ্যে লুকিয়ে আছে মৎস্যজীবীদের (Fishermen) রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার রহস্য।

ইয়েমেনের একদল মত্স্যজীবী সম্প্রতি মাছ ধরতে গিয়ে প্রায় ১২৭ কেজির অ্যাম্বারগ্রিজ খুঁজে পেয়েছেন। তিমি মাছের মুখনিঃসৃত মোমজাতীয় এই পদার্থের দাম আকাশছোঁয়া সে কথা বোধহয় অনেকেই জানেন। মৎস্যজীবীরা যতটা পরিমাণ তিমির বমি খুঁজে পেয়েছেন তার আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য প্রায় ১.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বলে মনে করা হচ্ছে অর্থাত্ ভারতীয় মুদ্রায় দাম গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় ১০ কোটি টাকা। একবার ভেবে দেখুন এহেন কোটিপতিকে পাত্রীরা বিয়ে করতে চাইবেন না , তাই কখনও হয়? সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে ৩৫ জন মত্স্যজীবীর একটি দল দক্ষিণ ইয়েমেনের সেরিয়াহ উপকূলের কাছে এডেন উপসাগরে মাছ ধরতে গেছিলেন। সেই সময়ই বিরাট বড় একটি স্পার্ম হোয়েলের মৃতদেহ খুঁজে পান তাঁরা। সেই দেহাবশেষটি পরীক্ষা করেই মত্স্যজীবীরা দেখতে পান যে দেহের ভিতরে বমি রয়েছে । ব্যাস মত্স্যজীবীদের বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে কী অমূল্য সম্পদ তাঁদের হাতে এসেছে। এই প্রসঙ্গে জনৈক মত্স্যজীবী জানান, তিমিটির মৃতদেহের কাছাকাছি যেতেই তীব্র গন্ধ নাকে আসে। এরপর তিমির পেট কাটতেই দেখা যায়।ভিতরে অ্যাম্বারগ্রিজ রয়েছে।

অন্তত ১০ কোটি টাকা তো মিলবেই, এমনটাই আশা করছেন মৎস্যজীবীদের দল। পুরো টাকা চাই নিজেদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়ার পাশাপাশি গরিব পরিবারকেও সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। কেউ বলছেন বাড়ি গাড়ি করবেন, কেউ আবার বিয়ে করে স্বপ্নের ডেস্টিনেশনে পাড়ি দেওয়ার কল্পনা করতেও শুরু করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন- অর্কিডস দ্য ইন্টারন্যাশনাল স্কুল শহরে চালু করবে দুটি নতুন শাখা


































































































































